গত বৃহস্পতিবার থেকেই মেট্রোয় টোকেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। ফলে স্বভাবতই ভিড় ঊর্ধ্বমুখী। কয়েক দিনের ব্যবধানে সোমবারই মেট্রোয় টোকেন ব্যবহার করা যাত্রীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবারেও সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে। যে ভাবে প্রায় প্রতিদিনই মেট্রোয় টোকেন ব্যবহারকারী যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে দৈনিক যাত্রীর সংখ্যা দ্রুত চার লক্ষ পেরিয়ে যাবে বলে মনে করছেন মেট্রোর কর্তারা।
অনেকেরই বক্তব্য, সকাল এবং সন্ধ্যার মেট্রোয় যাত্রীদের ভিড় দেখে অতিমারি-পূর্ব পরিস্থিতি ফিরে এল বলেই মনে হচ্ছে। মেট্রো সূত্রের খবর, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার টোকেন পরিষেবা শুরুর দিনে মেট্রোয় মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩১৩ জন। শনিবার সংখ্যা কিছুটা কমলেও শুক্রবার মেট্রোয় টোকেন কিনে সফর করেছেন ৪৩ হাজার ৬৬৫ জন। এক দিনের ব্যবধানে ওই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি বেড়ে যায়। চলতি সপ্তাহের সোমবার মেট্রোয় টোকেন কিনে সফর করা যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৮৪৯ জন। অর্থাৎ, ১৪ হাজারের বেশি অনিয়মিত যাত্রী বেড়েছে সপ্তাহের প্রথম দিনেই। মঙ্গলবার অনিয়মিত যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজারের কিছু বেশি।
উল্টো দিকে, মেট্রোয় স্মার্ট কার্ড বিক্রির সংখ্যা সামান্য কমেছে। গত বৃহস্পতিবার টোকেন চালুর দিন নতুন স্মার্ট কার্ড কিনেছিলেন ১ হাজার ৯০০ জন যাত্রী। সোমবার স্মার্ট কার্ড বিক্রির হার খানিকটা কমে দেড় হাজারে এসে ঠেকেছে।
ডিসেম্বরে প্রতি বছরই মেট্রোয় যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। শীতে খুদেদের নিয়ে বেরোনো ছাড়াও নানা কারণে অনিয়মিত যাত্রীর আনাগোনা বাড়ে। টোকেন চালুর পরে অনিয়মিত যাত্রীর ভিড় যে হারে মেট্রোয় বাড়ছে, তাতে মাসকয়েকের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ও টোকেন ব্যবহার করা যাত্রীদের মধ্যে যে পরিসংখ্যানের ফারাক রয়েছে, তা অনেক কমে আসতে পারে।
এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন, এই ঊর্ধ্বমুখী ভিড় সংক্রমণের বিড়ম্বনা বাড়াবে না তো?
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা যাত্রীদের টোকেন দেওয়ার আগে বিশেষ যন্ত্রে অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে সেগুলি জীবাণুমুক্ত করছেন। আগের মতোই যাত্রীদের ক্ষেত্রে করোনা-বিধি মেনে চলার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভিড় বাড়লে করোনা-বিধি কতটা মানা যাবে, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি।