প্রতীকী ছবি
শিল্পজনিত তরল বর্জ্যের প্লান্টের (অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা ইটিপি) কী অবস্থা, সেগুলি কবে থেকে পুরোপুরি কাজ করবে, তা নিয়ে পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশনকে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সম্প্রতি সেই হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রের খবর। কাল, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই পরিবেশ আদালতের একটি নির্দেশে বলা হয়েছিল, হাওড়া ডিভিশনের টিকিয়াপাড়া কমপ্লেক্স ও ‘সর্টিং ইয়ার্ড’
কমপ্লেক্সের ইটিপি-র কাজের প্রক্রিয়া পুরোপুরি শুরু হয়নি। তা এখনও চুক্তির পর্যায়েই রয়েছে। ফলে সেই সংক্রান্ত ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা
দিতে হবে। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই রেল তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, তিন বছরের মেয়াদের ভিত্তিতে সেই চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। সর্টিং ইয়ার্ড-এর প্লান্টের জন্য প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে টিকিয়াপাড়ার প্লান্টটি ইতিমধ্যেই কাজ করছে।
ওই প্লান্টটি যে কাজ করছে, তা গত ৩০ জুলাই আদালতে দাখিল করা হলফনামাতেও জানিয়েছিল রেল। সংশ্লিষ্ট হলফনামায় বলা
হয়েছিল, প্লান্টে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সেই কাজের জন্য আনুমানিক খরচ হতে পারে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। যার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘শেষের মুখে দাঁড়ানো চুক্তি চূড়ান্ত হতেই প্রায় দু’মাস সময় লাগল। তা-ও পুরোপুরি চালু করা হল না। রেলের মতো একটি মন্ত্রক যদি পরিবেশকে এতটা অগ্রাহ্য করে, তা হলে আর সাধারণ মানুষের দোষ কোথায়?’’
রেলের এক কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন, চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদন হওয়ায় প্লান্টটি আগামী ২০ দিনের মধ্যেই শুরু হবে। হলফনামায় সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে। তা ছাড়া, এই ধরনের চুক্তি চূড়ান্ত হতে একটু সময় লাগেই। ওই কর্তার কথায়, ‘‘আর এটা শুধু রেল নয়। রাজ্য বা কেন্দ্রের যে কোনও মন্ত্রক বা দফতরের ক্ষেত্রেই এই
কথাটি প্রযোজ্য।’’
যার পাল্টা জবাবে এক পরিবেশকর্মী বলছেন, ‘‘টাকা-পয়সার ব্যাপার যেখানে জড়িয়ে রয়েছে, সেখানে চুক্তি সম্পন্ন হতে সময় লাগার যুক্তিটা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু এত দিন কেন সেটা করা হয়নি, সেটাই তো মূল প্রশ্ন। কেন জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হল?’’