পরিকল্পনা: বিশাখাপত্তনমের সংগ্রহশালার আদলে কলকাতায় গড়ে উঠবে নৌসেনার এমনই সংগ্রহশালা। নিজস্ব চিত্র
এ বার শহরে ভারতীয় নৌসেনার সংগ্রহশালা তৈরি হতে চলেছে। সেখানে প্রদর্শিত হবে নৌবাহিনীর একটি বাতিল বিমানও।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের ‘এয়ারক্রাফট মিউজিয়াম’-এর আদলে কলকাতায় এমন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই চুক্তিও স্বাক্ষর হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, পরিত্যক্ত একটি সাবমেরিন যাতে সেখানে প্রদর্শন করা যায়, সে জন্য নৌসেনার কাছে আবেদন করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ই এম বাইপাসের ধারে একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ওই জমিকে কেন্দ্র করে কিছু আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিউ টাউনে প্রায় দু’একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। সেখানে এই কাজ শুরু হবে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, দেড় বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনা রূপায়িত হবে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ প্রায় ১২ কোটি টাকা ধার্য হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য সরকার এই খরচ বহন করবে।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, প্রায় ২৯ বছর কাজ করার পরে অবসর নিয়েছে যুদ্ধবিমান, টি-ইউ ১৪২। দৈর্ঘ্যে ৫৩ মিটার এবং প্রস্থে ৫০ মিটার বিমানটির ওজন ১৮৫ টন। দেড় মাস আগে ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে আলোচনার পরে জানা গিয়েছে, বাহিনীর ওই বিমানটিকে তামিলনাড়ু থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।
কিন্তু কী ভাবে বিমানটি কলকাতায় আনা হবে?
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, প্রথমে পুরনো বিমানটির বিভিন্ন অংশ খুলে সেগুলি কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। প্রস্তাবিত জায়গায় জোড়া লাগিয়ে বসানো হবে। এর পরে তৈরি করা হবে গ্যালারি।
বিভিন্ন পর্যায়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বিশেষ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেএমডিএ এবং নৌবাহিনীর আধিকারিকেরাও থাকবেন। সোমবার কেএমডিএ আধিকারিকেরা নিউ টাউনের ওই জমিটি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। এই প্রকল্প চালু হলে টিকিটেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে যৌথ ভাবে কলকাতাতেও একটি নৌ বিমানের প্রদর্শশালা গড়ে তোলা হবে। যেখানে ভারতীয় নৌবিমানের কার্যকলাপ এবং নৌবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরাই উদ্দেশ্য।’’ মন্ত্রী জানান, শুধু পর্যটক আকর্ষণেই নয়, শিক্ষার পাঠ হিসেবেও এই প্রকল্পকে রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিতে চায়। তবে বাতিল সাবমেরিনের বিষয়ে এখনও অনুমতিপত্র আসেনি বলেই মন্ত্রী জানান।