ভোলা দাস।
দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না। ইয়াস সে ভাবে আছড়ে পড়ল না ঠিকই, কিন্তু ভরা কটাল ভাসিয়ে নিয়ে গেল এক তরুণকে। বুধবার, নৈহাটির রামঘাটে। তাঁর খোঁজে গঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের লোকজন। নামানো হয়েছে ডুবুরি। নিখোঁজ তরুণের নাম ভোলা দাস (১৯) বলে জানিয়েছে নৈহাটি থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল নৈহাটি থানা ও নৈহাটি পুরসভা। এ দিন গঙ্গায় ভরা কটাল থাকার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। তাই কেউ যাতে কোনও ভাবেই গঙ্গায় না নামেন, তার জন্য দিন কয়েক ধরেই মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও ওই তরুণ এ দিন গঙ্গায় নেমেছিলেন কেন?
ভোলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নৌকায় যাত্রীদের গঙ্গা পারাপারের ব্যবসা রয়েছে তাঁদের। স্থানীয় বোষ্টমপাড়া ঘাটে সেই নৌকা চলে। কটালের কারণে সেই নৌকা নোঙরের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। হাওয়ার দাপটে সেই বাঁধন ছিঁড়ে গিয়ে নৌকা ও নোঙর আলাদা হয়ে যায়। গঙ্গায় নেমে নোঙরটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন ভোলা। কিন্তু জলের তোড়ে তিনি ভেসে যান বলে জানান ভোলার মামা মনোজ। ঘটনার আকস্মিকতায় শোকাচ্ছন্ন ভোলার পরিবার এবং পরিজনেরা।
রামঘাটের কাছেই বাড়ি ভোলার। তাঁর দুই বোন রয়েছেন। পরিজনেরা জানান, নোঙর ভেসে যাওয়ার খবর পেয়ে ভোলা কাউকে কিছু না জানিয়েই গঙ্গায় নেমে গিয়েছিলেন। মনোজ বলেন, ‘‘বাড়ির কাউকেই কিছু জানায়নি ভোলা। লোকজন দেখতে পেয়ে চিৎচার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। তাঁদের থেকেই আমরা ঘটনার খবর জানতে পারি।’’