—প্রতীকী ছবি।
নির্দেশ দিয়েছে খোদ হাই কোর্ট। তা সত্ত্বেও গল্ফ গ্রিন থানা এলাকার গান্ধী কলোনিতে একটি মাঠের একাংশ চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করতে গিয়ে এলাকাবাসীদের বাধায় ফিরে আসতে হল পুলিশকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গান্ধী কলোনিতে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশকে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হবে না, এই দাবিতে এলাকাবাসী পথ অবরোধ করেন। অবরোধে রায়পুর রোডে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়ে কয়েকটি স্কুলবাসও। পুলিশ এলাকা ছেড়ে চলে গেলে অবরোধ উঠে যায়।
রায়পুর রোডের ধারে গান্ধী কলোনির ২১ কাঠার ওই মাঠ ঘিরে বিতর্ক অনেক বছরের। এ নিয়ে ‘মাঠ বাঁচাও কমিটি’ও তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, ওই মাঠ তাঁদের কাছে খেলার মাঠ। এলাকার তিনটি ক্লাবের নানাবিধ কর্মকাণ্ড ওই মাঠেই হয়। দু’টি সরকারি স্কুলও খেলার পরিসর হিসাবে ওই মাঠ ব্যবহার করে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ওই মাঠে হয়। এখন হাই কোর্টের নির্দেশে ওই মাঠের সাড়ে সাত কাঠা অংশ চিহ্নিত করে তা দখলমুক্ত করতে আসছে পুলিশ। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি তপন দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘ওই মাঠের সাড়ে সাত কাঠা অংশ কারও মালিকানাধীন বলা হচ্ছে। তা-ই যদি হয়, তা হলে এত দিন কেন ওই অংশটি আলাদা করে চিহ্নিত করা হল না? হঠাৎ ওই সাড়ে সাত কাঠা অংশকে চিহ্নিত করে কেন দখলমুক্ত করতে আসছে পুলিশ? পুলিশ হাই কোর্টের নির্দেশে এলেও তাদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’ এলাকার এক বাসিন্দা বাপি সাহার দাবি, ‘‘ওই সাড়ে সাত কাঠা জমির প্রয়োজনীয় সব নথিও কেউ দেখাতে পারছেন না।’’ এ দিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। মাঠের প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ওই জমির কোনও অংশ যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন হয় এবং তার প্রয়োজনীয় নথি থাকে, তা হলে হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পুলিশ-প্রশাসনকে সেই জায়গা দখলমুক্ত করতে দেওয়া হবে না কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘‘এ নিয়ে হাই কোর্টে যে মামলা হয়েছে, তাতে এলাকার একটি মাত্র সংগঠনকে যুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় এলাকার আরও দু’টি সংগঠনকে যুক্ত করতে হবে। না হলে হাই কোর্ট নির্দেশ দিলেও আমরা বাধা দেব।’’ এক পুলিশকর্তা বললেন, ‘‘আমরা কোর্টের নির্দেশে ওই মাঠের নির্দিষ্ট অংশ চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় বাধায় তা করা যায়নি।’’ পুলিশ জানাচ্ছে, তারাও মামলা করবে।