পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
সল্টলেকের এ-ই ব্লকে গ্রিন ভার্জের পাশে সরকারি জমিতে তৃণমূলের একটি অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় গড়ে ওঠা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ঘটনার খবর গড়িয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পর্যন্ত। তিনি নিজেও সতর্ক করে জানিয়েছেন, সরকারি জমির উপরে কোনও দলীয় কার্যালয় করা যাবে না।
স্থানীয়েরা জানান, বাঁশ ও টিনের তৈরি ওই দলীয় কার্যালয়টি এর আগে গ্রিন ভার্জের ভিতরে ছিল। নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে সেটি ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি ফের নতুন করে অন্য জায়গায় দলীয় কার্যালয়টি গড়ে উঠেছে। জায়গাটি বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে থাকলেও, দলীয় কার্যালয়টি তৈরির পিছনে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার ভূমিকা রয়েছে বলে এলাকার খবর। ওই তৃণমূল নেতার দাবি, ওই দলীয় কার্যালয়টি ব্যবহার হয় না। ওখানে কিছু জিনিসপত্র রাখা থাকে। কোনও জরুরি প্রয়োজনে এলাকার লোকজন তাঁদের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ করতে পারেন, তার জন্য ওই অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। যদিও ওই দলীয় কার্যালয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি, সরকারি জমিতে কোনও ভাবেই কোনও দলীয় নির্মাণ চলতে পারে না।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সরকারি জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা যায় না। এর আগে গ্রিন ভার্জে ছ’মাস লেগেছিল ওই ধরনের কার্যালয় ভাঙতে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে এ সব হয়ে থাকে। এ সব নিয়ম বিরুদ্ধ।’’