রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো। —ফাইল চিত্র
প্লাস্টিক অপসারণ নিয়ে এ বারে সমস্যায় পড়েছে কেএমডিএ।
যে সব ঘাটে ছটপুজো হয়েছিল, সেগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, আগামী দিনে ঘাটে প্লাস্টিক জমা ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কেএমডিএ জানাচ্ছে, রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর বাদ দিয়েও বাকি যে ১৫টি বিকল্প ঘাট ছটপুজোর জন্য রয়েছে, আগামী বছর থেকে সেখানে প্লাস্টিক নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঘাটগুলির প্রবেশের দরজায় প্লাস্টিকজাত দ্রব্য আটকে দেওয়া হবে। নিরাপত্তারক্ষীরাও পরীক্ষা করবেন যাতে কেউ প্লাস্টিক নিয়ে ভিতরে প্রবেশ না করতে পারেন।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, এই বছর ছটের পরে ঘাট পরিষ্কার করার সময়ে ছোট ঘাটগুলির চত্বর ছাড়াও জলাশয় থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক মিলেছে। ছোট জলাশয় বাদ দিলেও প্লাস্টিক বর্জিত জায়গা রবীন্দ্র সরোবরেও প্রচুর সংখ্যায় প্লাস্টিক মিলেছে। একই ঘটনা ঘটেছে সুভাষ সরোবরেও। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী, এক বার ব্যবহার করা হয়েছে এমন প্লাস্টিকজাত দ্রব্য- প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, জলের বোতল ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সেগুলিই বেশি পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে বলেও কর্তৃপক্ষের দাবি।
পরিবেশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ছটপুজোয় এ বার বহু পুণ্যার্থীই রবীন্দ্র সরোবরে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে পুজোর সরঞ্জাম নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। বিকল্প ঘাটগুলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। ফলে, ছোট জলাশয়গুলিতে দূষণ অনেকাংশে বেশি হয়েছে বলেই মনে করেন পরিবেশকর্মীরা।