প্রতীকী চিত্র।
আগুন লাগা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট— উৎসবের দিনগুলিতে এমন একাধিক সমস্যা মেটাতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করছে হাওড়া সিটি পুলিশ। ধনতেরস থেকে ছটপুজো পর্যন্ত তা চালু থাকবে। কালীপুজোর সময়ে কেউ কোনও সমস্যা নিয়ে কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা দ্রুত তার সমাধান করবেন। সে জন্য পুলিশকর্তারা ছাড়াও দমকল, সিইএসসি ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিসারেরা থাকবেন কন্ট্রোল রুমে।
সম্প্রতি হাওড়া শরৎ সদনে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও ছটপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সিটি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোয় এমন কন্ট্রোল রুম করা হলেও সেটি এতটা সংগঠিত ভাবে হয়নি। হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে এই কন্ট্রোল রুম চালু হবে ধনতেরস থেকে। চলবে ছটপুজো পর্যন্ত।’’
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উৎসবের দিনগুলিতে ইভটিজ়িং রুখতে তৈরি রাখা হচ্ছে মহিলা পুলিশের ‘শক্তি’ বাহিনীকে। শহর জুড়ে নজরদারি চালাবে গোয়েন্দা দফতরের ছ’টি দল। হাওড়া শহরে কালীপুজো হয় ১১০০টি।
আরও পডুন: ‘রাস্তায় ধরে ধরে তল্লাশি করবে? অত পুলিশ কোথায়’
পুজো ও বিসর্জনের দিন ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। ছটপুজোয় কোনও ঘাটে জনসমাগম করতে দেওয়া হবে না। ঘাটগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও থাকবেন প্রশিক্ষিত ডুবুরিরা।