Kali Puja

কালীপুজোতেও ম্যাপিংয়ে জোর

তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো শেষ হওয়ার পরে পরেই দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৬
Share:

ফািল চিত্র।

করোনা সংক্রমণ রুখতে এ বার দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও হাওড়ায় এলাকা ম্যাপিংয়ের উপরে জোর দিল জেলা প্রশাসন। এলাকা ম্যাপিং বা বিভিন্ন এলাকার করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানকার পুজো মণ্ডপগুলিতে কী কী বিধিনিষেধ আরোপ করা যায়, তা ঠিক করতে স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ প্রশাসনকে যৌথ ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে পুলিশ, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করা হয়। তার পরেই জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ দিনে হাওড়ার কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কালীপুজোর ভিড় বা বাজি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় কোভিড পরিস্থিতি কোন এলাকায় কী রকম, কোনও এলাকায় সংক্রমণ কতটা— এ সবই দুর্গাপুজোর আগে খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই মতো বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলির পুজো মণ্ডপে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ওই সব মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি করা হয়। হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোয় ম্যাপিং করে এলাকা চিহ্নিত করেছিলাম। কালীপুজোতেও সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক করে তা স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ প্রশাসনের ওই কর্তা জানান, দুর্গাপুজোয় ভিড় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুজোর পরে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তার উপরে নজর রাখা হচ্ছে।

Advertisement

তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো শেষ হওয়ার পরে পরেই দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যেখানে দিনে কমবেশি ২০০ জন সংক্রমিত হচ্ছিলেন, সেখানে বর্তমানে সেই সংখ্যা তিনশোর আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। নবমীতে রাস্তায় ভিড় দেখে তাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন প্রতিদিন ১৫০০টি অ্যান্টিজেন টেস্ট ও ৯০০টি করে কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, পুজোর পরে আরও ১৫ দিন পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। কালীপুজোর আগে যদি সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়, তা হলে এলাকা ম্যাপিং করে পুজো উদ্যোক্তাদের পুজো নিয়ে কড়াকড়ি করতে বলা হবে। প্রয়োজনে মণ্ডপে প্রবেশের উপরেও কড়াকড়ি করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বাজির দূষণ বাড়লে যে হেতু সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, তাই এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই বাজি নিয়ন্ত্রণে কী করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement