ছিঃ: এ ভাবেই থাকে আবর্জনাময় বেনারস রোড। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
ব্যস্ত রাস্তার খোলা ভ্যাট তুলে দিতে প্রায় এক বছর আগে সেখানে আবর্জনা ফেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাওড়া পুরসভা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনও নিয়মিত আবর্জনার পাহাড় জমা করছেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা। ফলে জমানো আবর্জনা থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমনকি যানজটের কারণও যে সেই ভ্যাট এ খবরই জানেন না পুরকর্তারা। এমনই পরিস্থিতি হাওড়ার সালকিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেনারস রোডের একটি অংশে।
বামনগাছি সেতুর আগে সীতানাথ বোস লেনের কাছে ওই অংশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাছেই একটি কম্প্যাক্টর স্টেশন রয়েছে। অথচ সাফাইকর্মীরা সেখানে আবর্জনা না নিয়ে গিয়ে রাস্তার ধারেই আবর্জনা ফেলে দিচ্ছেন। দিনের পর দিন সেই আবর্জনা পুরসভার আবর্জনা ফেলার গাড়ি না তোলায় তা ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। নোংরা এড়াতে মাঝরাস্তা দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। ফলে সেখানে যানজট তৈরি হওয়া নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘‘এই ভ্যাটের যন্ত্রণায় আমরা টিকতে পারছি না। সব ভ্যাট থেকে ময়লা তোলা হলেও ওখান থেকে নিয়মিত আবর্জনা তোলা হয় না। জমে থাকা আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। সে সব ডিঙিয়েই যাতায়াত করতে হয়।’’ ক্ষোভের সঙ্গে এ কথাগুলো বলছিলেন এলাকার পুরনো বাসিন্দা ত্রিলোকেশ নন্দী। বেনারস রোডের উপরে দোকান রয়েছে সুজিত বাগের। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যে ভ্যাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানে ফের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। অথচ এত দিনেও সাফাই দফতরের কাছে খবর থাকে না কী ভাবে?’’
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, বেনারস রোড দিয়ে সালকিয়ার দিকে যেতে বাঁ দিকে পাঁচিল ঘেরা ওই ভ্যাট নজরে না পড়ে উপায় নেই। বেশ কয়েক দিনের আবর্জনা স্তূপাকৃতি হয়ে পড়ে আছে ভ্যাটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সমস্যার কথা স্থানীয় বরো অফিসে জানিয়েও কিছু হয়নি। উপরন্তু ভ্যাটের আয়তন বেড়েই চলেছে। ভ্যাট থেকে নিয়মিত কেন আবর্জনা তোলা হয় না? প্রশ্ন শুনে কার্যত অবাক সাফাই দফতরের এক কর্তার উত্তর, ‘‘ওই ভ্যাট তো এক বছর আগেই বন্ধ করা হয়েছে। ওখানে কারা আবর্জনা ফেলছেন খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ সেই সঙ্গে কর্তার যুক্তি, ‘‘পুর কর্মীদের তো ফেলার কথা নয়! তবে কী বাসিন্দারাই ফেলছেন?
এ প্রসঙ্গে হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘আবর্জনা কারা ফেলছেন, তা দেখা হবে। ভ্যাট বন্ধ করা সত্ত্বেও কেন ভাঙা হয়নি তা-ও জানতে চাইব।’’