ফাইল চিত্র।
আগামী চার দিন প্রায় ২১ ফুট উচ্চতায় বান আসতে পারে গঙ্গায়। সকালের দিকে সেই বানের উচ্চতা সর্বোচ্চ হবে। কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের এই সতর্কবার্তা পেয়ে নড়ে বসেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। কারণ, আজ বৃহস্পতিবার একই সঙ্গে রয়েছে মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পুজো। ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটগুলিতে তর্পণের জন্য হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হবেন। অমাবস্যার কটালের এই বানের জন্য সতর্কতা হিসাবে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা ঠিক করতে বুধবার বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
কটালের বানের জন্য গত কয়েক বছর ধরে এই সময়ে গঙ্গার ঘাটগুলির ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেটিঘাটগুলি। গত চার বছরে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির শিবপুর, বাউড়িয়া-সহ একাধিক ঘাটের জেটি ভেঙে বা উল্টে গিয়ে মাসের পর মাস বন্ধ থেকেছে লঞ্চ পরিষেবা। যদিও সব থেকে আশঙ্কা তর্পণ করতে আসা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে। এর পরের দিনই আবার বিশ্বকর্মা পুজোর বিসর্জন। অন্য বারের তুলনায় এ বছর হাওড়ার শিল্পাঞ্চলগুলিতে বিশ্বকর্মা পুজো কম হলেও জেলা প্রশাসনের ধারণা বিভিন্ন ঘাটে দু’-তিন হাজার মূর্তি নিরঞ্জনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ নজরদারি জোরদার করতে এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, পুর কমিশনার ধবল জৈন-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তা ও সেচ দফতর, সিইএসসি, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অফিসারেরা।’’
জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, যেহেতু ঘাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশ ও পুরসভা যৌথ ভাবে দেখে, তাই পুরসভা ঘাট পরিষ্কার থেকে আলোর ব্যবস্থা সবই করেছে। গঙ্গার ঘাটগুলি স্নান করার জন্য দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে যাতে ঘেরা অংশের বাইরে কেউ যেতে না পারেন। ঘাটে থাকছে পুলিশ ও পুরসভার সহায়ক বুথ। গঙ্গায় সর্বদা নজরদারির জন্য থাকছে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের লঞ্চ, ডুবুরি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘বালি থেকে বটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত ১২টি ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বান আসা নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে মাইকে ঘোষণার ব্যবস্থা থাকছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি থাকছে কুইক রেসপন্স টিম।’’