মাথা গোঁজার ঠাঁই হল মা ও তিন শিশুর

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাস কয়েক আগে হাসপাতালের সিঁড়িতে তিনটি বাচ্চাকে নিয়ে কাঁদছিলেন ওই মহিলা। জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তাঁর নাম পুটকি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ১৩:০৬
Share:

সন্তান-সহ পুটকি। —নিজস্ব চিত্র।

এসএকেএম হাসপাতালে টানা কিছু দিন ভর্তি থাকার পরে মারা গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সন্তানদের নিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই আশ্রয়ের জন্য হাজির হয়েছিলেন তিনি। অসহায় ওই মহিলাকে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এ বার হাসপাতাল কর্তাদের উদ্যোগে আশ্রয় পেলেন সেই মা ও তিন সন্তান।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাস কয়েক আগে হাসপাতালের সিঁড়িতে তিনটি বাচ্চাকে নিয়ে কাঁদছিলেন ওই মহিলা। জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তাঁর নাম পুটকি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী রাজমিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে সেখানেই ভর্তি ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে শ্বশুরবাড়ির লোক আর তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। কোথায় যাবেন বুঝতে না পেরে হাসপাতালেই চলে আসেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে চতুর্থ শ্রেণির চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ করেন এবং হাসপাতালের পাম্পঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। বুঝতে পারেন, এটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।

কর্তৃপক্ষ নারী ও সমাজ কল্যাণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা উদ্যোগী হয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সংগঠনের মাদার-চাইল্ড সেন্টারে থাকার ব্যবস্থা হয় ওই মহিলা ও তিন সন্তানের। ওই সেন্টারে থেকেই তিন শিশুর পড়াশোনা চলবে। এ বার থেকে দিনের শেষে কাজ সেরে মা ফিরবেন সেন্টারে। এই ব্যবস্থায় নিশ্চিন্ত পুটকি। তাঁর কথায়, ‘‘আবার স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারব ভেবে ভাল লাগছে।’’ পুটকি ও তাঁর তিন সন্তানের মাথার উপরে ছাদ খুঁজে দিতে পেরে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement