মুদ্রার মোটিফে সেজেছে তারাতলা মেট্রো স্টেশন। নিজস্ব চিত্র।
রেল বা মেট্রো স্টেশনের সাজসজ্জায় আঞ্চলিক ঐতিহ্য এবং বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেওয়ার রীতি মেনে সেজে উঠেছে জোকা-তারাতলা মেট্রো। সাড়ে ছ’কিলোমিটার ওই মেট্রোপথের অন্যতম প্রান্তিক স্টেশন তারাতলা। যার খুব কাছেই রয়েছে আলিপুর টাঁকশাল। ১৯৩০ সালে ওই টাঁকশালের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তা সম্পূর্ণ হতে দু’দশক লেগে গিয়েছিল। আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই টাঁকশালের সূচনা হয় ১৯৫২ সালে। তারাতলাস্থিত এই টাঁকশালের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে তারাতলা স্টেশনের অন্দরসজ্জায় ফুটে উঠেছে মুদ্রার ছবি। স্টেশনের বিভিন্ন স্তম্ভে স্বাধীন ভারতের একাধিক মুদ্রার আকার সাল, তারিখ, বৈশিষ্ট্য-সমেত তুলে ধরা হয়েছে। ওই সব মুদ্রার মধ্যে ১৯৬৬ সালের এক পয়সা থেকে শুরু করে হালফিলের ১০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মুদ্রার আকার এবং অবয়ব ফুটে উঠেছে। রয়েছে বিশেষ দিন উপলক্ষে প্রকাশিত কিছু মুদ্রাও।
মেট্রো সূত্রের খবর, এর একটি উদ্দেশ্য স্টেশনের অন্দরসজ্জাকে আকর্ষণীয় করে তোলা, অন্যটি স্থানীয় ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দেওয়া। এমনিতে কলকাতায় টাঁকশালের ইতিহাস কম-বেশি ২৬৫ বছরের। ১৭৫৭ সালে প্রথম টাঁকশাল তৈরি হয়েছিল বর্তমান জিপিও ভবনের কাছে। যা আদতে মুর্শিদাবাদ টাঁকশাল (মিন্ট) বলে পরিচিত ছিল। এর পরের টাঁকশাল তৈরি হয় ১৭৯০ সালে। স্ট্র্যান্ড রোডে ১৮২৪ সালে তৈরি হয় কলকাতার তৃতীয় টাঁকশাল। সেটির পরিচিতিও ছিল মুর্শিদাবাদের নামেই। তার প্রায় ১০০ বছর পরে তারাতলাস্থিত বর্তমান টাঁকশালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। মেট্রো সূত্রের খবর, প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিয়েই স্টেশনের অন্দরসজ্জার জন্য মুদ্রা নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যাত্রী পরিষেবার জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে জোকা-তারাতলা মেট্রো। সাড়ে ছ’কিলোমিটার এই মেট্রোপথে ছ’টি স্টেশনের মধ্যে একটি ট্রেন দিয়ে পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা।