কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ফাইল ছবি
দীর্ঘ চার বছর নির্বাচন হয়নি। শেষে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনী প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রথম থেকেই নির্বাচনের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী শিবিরের চিকিৎসক সংগঠনগুলি। স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে আদালতে মামলা করেছিল তাদের একাংশ। মঙ্গলবার শুনানির পরে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভাবে ভোট পরিচালনার জন্য ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত উপযুক্ত জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবং তার জন্য অ্যাড-হক কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।
মেডিক্যাল কাউন্সিল পরিচালনার জন্য হাই কোর্টের নির্দেশে অ্যাড-হক কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই কমিটিই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। স্বচ্ছতা যাতে বজায় থাকে, তার জন্য হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। সঙ্গে ছিল চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের তরফে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম’ও। এ দিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনের ব্যালট বিলি শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেগুলি জমা হওয়ার পরে, ১৯ অক্টোবর গণনা হবে কাউন্সিলের অফিসেই। সেখানে যাতে কারচুপি না হয়, তার জন্য নজরদারির প্রয়োজন। ফোরামের তরফে কৌশিক চাকী বলেন, “আমরা আবেদন করছি, এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক কিংবা বিচারপতিকে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হলে খুব ভাল হয়।’’
তৃণমূল-সমর্থিত চিকিৎসক প্যানেলের প্রার্থী কৌশিক বিশ্বাস বলেন, “বাম আমলে কাউন্সিলের নির্বাচন ঠিক ভাবে হতই না। এখন কলকাতা ছাড়া বাইরের কোনও জেলায় বিরোধীরা একটি সভাও ঠিক মতো করতে পারেননি। কোথাও অস্তিত্ব নেই। হার নিশ্চিত জেনেই বিভিন্ন দাবি তুলছেন।’’ তবে, আদালতের নির্দেশ মতোই সব কিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার তথা ভোটের রিটার্নিং অফিসার মানস চক্রবর্তী।