ফাইল চিত্র
বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে আদালত অবমাননার একটি মামলায় কলকাতা পুলিশের বন্দর বিভাগ এবং কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরোর চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে তুলোধোনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রেজা, ১১ নম্বর বরোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ধূর্জটি সরকার এবং একবালপুর থানার ওসি আমানুল্লা। নির্দেশ সত্ত্বেও চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ দিন নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে উপস্থিত হননি। পরে অবশ্য তিনি আসেন। পুলিশ জানায়, এই মামলায় কাল শুক্রবার ফের ডিভিশন বেঞ্চে হাজির হতে হবে ডেপুটি কমিশনার, ওসি, ১১ নম্বর বরোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং সিইএসসি-র সংশ্লিষ্ট এলাকার ইঞ্জিনিয়ারকে। হাজির থাকতে হবে একবালপুর থানার প্রাক্তন ওসি জয়সূর্য মুখোপাধ্যায়কেও। কারণ, তাঁর সময়েই ওই নির্মাণ হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, একবালপুরের রিমাউন্ট রোডের পাঁচতলা ওই বাড়িটির পুরোটাই বেআইনি। সেটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সাহায্যে পুর কর্তৃপক্ষ বাড়ি না-ভাঙায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। এক মাস আগে বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ পুর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল, বাড়ি ভাঙার পরে তার ছবি আদালতে পেশ করতে। একই সঙ্গে বুধবারের শুনানিতে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল ডেপুটি কমিশনার, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং ওসি-কে।
পুলিশ জানায়, এ দিন বন্দরের ডেপুটি কমিশনার এবং ওসি-র উদ্দেশে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় জানান, ওই বাড়ি রাতারাতি তৈরি হয়নি। পুলিশ তখন কী করছিল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। ডেপুটি কমিশনার জানান, ওই বাড়িতে ২৫টি পরিবার রয়েছে। বাড়ির দু’দিকে তাঁরা বাস করেন। বাড়ির মাঝামাঝি অংশের ছাদ ভেঙে গর্ত করে আদালতের নির্দেশ মানা হয়েছে। ওসি জানান, তিনি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে একবালপুর থানায় যোগ দেন। তার আগেই বাড়ি তৈরি হয়েছিল।