ছবি: সংগৃহীত
বইয়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে পাঠাগার তৈরি করেছে হিডকো। নিউ টাউনের নজরুল তীর্থের তিন ও চারতলা জুড়ে এই পাঠাগার রয়েছে। আপাতত সাড়ে চার হাজার বইয়ের সম্ভার রয়েছে সেখানে। হিডকো সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে সেখানে ২০ হাজার বই রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
ওই পাঠাগারের পাশাপাশি ওয়েবসাইট থেকেও সদস্য হওয়ার ফর্ম পাওয়া যাচ্ছে। সদস্য হতে বছরে এক হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। এক জন সদস্য একসঙ্গে দু’টি বই ২১ দিনের জন্য রাখতে পারবেন। স্মার্ট কিয়স্ক থেকে বই সংগ্রহের জন্য স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। পাঠাগার বন্ধ থাকলেও ড্রপ বক্সে বই জমা করা যাবে। সোমবার বন্ধ থাকবে ওই পাঠাগার। অন্য দিন বেলা বারোটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পাশাপাশি, ই-বুকেরও ব্যবস্থা থাকছে সেখানে।
হিডকোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি বইয়ে লাগানো রয়েছে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগ, যাতে কেউ বই নিলে যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারে সংগৃহীত হয়ে থাকে। থাকছে ডিজিটাল ক্যাটালগ। যার মাধ্যমে পছন্দ মতো বই দ্রুত সংগ্রহ করতে পারবেন পাঠক। বিভিন্ন বয়সিদের জন্য বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেমিনার হলে ফরাসি এবং জার্মান ভাষা শেখানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে সংস্থার তরফে।
পাঠাগারের উন্নয়ন এবং তা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্থানীয়দের একাংশকে নিয়ে একটি অ্যাডভাইসরি কমিটি গঠন হয়েছে। এ কাজের জন্য ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে হিডকো। হিডকোর এক কর্তা জানান, বই নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে এই পাঠাগারের ভাবনা।