—ফাইল চিত্র।
প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যাটা অনেক কম। তাই ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা যথেষ্ট ব্যাহত হচ্ছে। এমনই বেহাল অবস্থার কথা উঠে এল রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার চিঠিতে!
সোমবার রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুরসভার কমিশনার, জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আর্বান কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার, শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হেল্থ ওয়েলনেস সেন্টার বা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পলিক্লিনিকগুলিতে রোগী পরিষেবার হাল শোচনীয়। কারণ, সর্বত্রই প্রয়োজনীয় কর্মীর প্রায় ৩০ শতাংশ রয়েছেন। যেমন, ৩০৩৯ জন চিকিৎসকের পরিবর্তে রয়েছেন মাত্র ৯২৭ জন, ২৪০২ জন নার্সের মধ্যে আছেন মাত্র ৯৩৮ জন। আর কমিউনিটি হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ৩২৫১ জনের মধ্যে ৮৭৪ জন রয়েছেন। সেটির হার ৩০ শতাংশেরও কম, ২৭ শতাংশ। তাই শূন্য পদে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার স্বীকারোক্তিতে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্স’-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘এত দিন আমরাই অভিযোগ করতাম। এখন প্রশাসন নিজেই স্বীকার করছে যে, জনস্বাস্থ্যে চূড়ান্ত গাফিলতি হচ্ছে। শূন্য পদে নিয়োগ না হওয়া, সংক্রামক, অসংক্রামক রোগে প্রতি বছর এত মৃত্যুর দায় তা হলে কার?’’
শহরের মানুষকে উন্নত পরিষেবা দিতে চালু হয়েছে ‘জাতীয় শহর স্বাস্থ্য মিশন’। সেই প্রকল্পে বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’-এর সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণেই শহরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি। চুক্তিতে লোক নিয়োগের ফলে কম বেতনে ডাক্তার, নার্স পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তা ছাড়া বিলম্বিত এবং অনিয়মিত সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্যই দুই-তৃতীয়াংশ পদ শূন্য।’’