ফাইল চিত্র।
দেড় মাসে একটিও ডেঙ্গি-মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারল না স্বাস্থ্য ভবন। পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও মৃত্যুর কারণ সত্যিই ডেঙ্গি কি না, তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য ভবনের সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, গত দেড় মাসে ওই কমিটি একটিও বৈঠক না করায় ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সাম্প্রতিক তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চলতি মরসুমে ডেঙ্গিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার। এর পরে উৎসবের মরসুমে কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ দমদম, হাবড়া, কাকদ্বীপ-সহ একাধিক পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ডেঙ্গি-মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতো সেই সব মৃত্যুর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি পাঠিয়েছে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক না হওয়ায় ডেঙ্গিতে মোট মৃতের সংখ্যায় তারতম্য ঘটেনি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরে ডেঙ্গিতে যতগুলি মৃত্যু হয়েছে, তাতে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৩০ হওয়ার কথা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের উদাহরণ টানছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব হেল্থ সার্ভিসেসের (ডিজিএইচএস) গত ১৩ অক্টোবর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ হাজার ৮৬৬। মৃত ৯৩। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, ওই দেশে ডেঙ্গির প্রকোপ এত বেশি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার তথ্য প্রকাশ করতে পারলে এ বঙ্গে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশে এমন গড়িমসি মনোভাব কেন!
স্বাস্থ্য-অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজোর ছুটি থাকায় বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যেরা বৈঠকে বসতে পারেননি।’’ আজ, বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।