Health Department

বেশি রাতে দেহদান নয়, নয়া বিধি স্বাস্থ্য দফতরের

রাতে কোনও দেহ এলে, কাগজপত্র খতিয়ে দেখে হাসপাতালের মর্গে রাখতে হবে। পরের দিন দান করা হবে। কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ হলে অ্যানাটমি বিভাগ পুলিশের ‘নো-অবজেকশন’ সার্টিফিকেটও চাইতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৯:২০
Share:

সাম্প্রতিক কালে দেহদানের প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফাইল চিত্র।

সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রাত ৯টা। তার পরে আর কোনও মেডিক্যাল কলেজে দানের মৃতদেহ গ্রহণ করা হবে না। বৃহস্পতিবার এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে। মরণোত্তর দেহদান সম্পর্কে ‘এসওপি’ তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক কালে দেহদানের প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর পরেই এ দিন স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য-সহ অন্য কর্তারা ‘অ্যানাটমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’ (এএসআই)-র রাজ্য শাখার সভাপতি, শিক্ষক-চিকিৎসক অভিজিৎ ভক্ত, মুখপাত্র শিক্ষক-চিকিৎসক হিরণ্ময় রায় এবং সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। স্থির হয়েছে, রাতে কোনও দেহ এলে, কাগজপত্র খতিয়ে দেখে হাসপাতালের মর্গে রাখতে হবে। পরের দিন দান করা হবে। কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ হলে অ্যানাটমি বিভাগ পুলিশের ‘নো-অবজেকশন’ সার্টিফিকেটও চাইতে পারে।

তৃতীয় ব্যক্তি বা কোনও সংগঠনের মধ্যস্থতায় দেহ গ্রহণ না করার বিষয়টি নিয়েওআলোচনা হয়। মৃতের নিকটাত্মীয়কে সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে অ্যানাটমি বিভাগে আসতে হবে। কী ধরনের দেহ চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়, তার তালিকা-সহ একটিরূপরেখা স্বাস্থ্য দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে এএসআই-কে। দেহদানের প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে এক জন নোডাল অফিসার থাকবেন। দেহদানে কোনও সমস্যা হলে ওই আধিকারিকেরা নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তা সমাধান করবেন।

Advertisement

অভিজিৎ বলেন, “রূপরেখা তৈরি করে দ্রুত জমা দেব, যাতে দেহদানের প্রয়োজনীয়তাও মেটে এবং জটিলতাও কাটে।” গণদর্পণের তরফে শ্যামল চট্টোপাধ্যায় বললেন, “সিদ্ধান্তগুলি ভাল। যদিও সংরক্ষণের পরিকাঠামো আরও উন্নত করা দরকার। তবে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে আমাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। কারণ, আমরাও সহযোগিতা ও সমন্বয়ের দ্বারা ভুল বোঝাবুঝির অবসান চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement