উজ্জ্বল: অনুষ্ঠানে সেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
প্রসূতি মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে রোগী-চিকিৎসক সম্পর্কে নয়া নজির তৈরি করেছিলেন চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার সেই তরুণ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সল্টলেকের কার্যালয়ে অভিনন্দন জানাল স্বাস্থ্য কমিশন। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কমিশন যে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট বা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নয়, সকল স্তরে সেই বার্তা দিতে চাইছি। আমরা অভিযোগের সারবত্তা দেখে যেমন রায় দিচ্ছি, তেমন ভাল কাজ হলে প্রশংসাও করছি।’’
চেয়ারম্যানের পাশাপাশি এ দিন সেখানে হাজির ছিলেন কমিশনের অন্য তিন সদস্য, চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, মাখনলাল সাহা ও মধুসূদন বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৩ নভেম্বর রাত ১১টা নাগাদ প্রসবযন্ত্রণা ওঠে রাজারহাটের রায়গাছির বাসিন্দা সোনি বেগমের। স্বামী আখতার আলি জানিয়েছিলেন, গাড়ি জোগাড় করে আর জি করের উদ্দেশে রওনা হতে তাঁদের রাত একটা বেজে গিয়েছিল। আটঘরার কাছে গাড়ির মধ্যেই সন্তান প্রসব হয়ে যায় সোনির। কী করবেন ভেবে না পেয়ে কাছাকাছি থাকা চার্নক হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোনির পরিজনেরা। সে দিন কর্তব্যরত চিকিৎসক পূজা অধিকারী কমিশনকে জানান, কী ভাবে ঘটনার কথা শোনা মাত্র তাঁরা সে দিন গাড়ির মধ্যেই শিশুটির নাড়ি কাটার ব্যবস্থা করেছিলেন।
এমনিতে কমিশনের দফতরে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি মানেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলার শুনানিতে হাজির হওয়া। সেখানে চিনার পার্কের ওই হাসপাতালের কাছে এ দিনের অভিজ্ঞতা ছিল অন্য রকম। সম্ভবত সেই কারণেই কমিশনের এক কর্মী খাতা নিয়ে এগিয়ে এলে মুচকি হেসে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার ঈপ্সিতা কুণ্ডু বলেন, ‘‘আজ কোনও মামলার জন্য আসিনি!’’
এ দিন কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, জেলায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির পরিষেবা কেমন, তা দেখতে সম্প্রতি জেলা সফর শুরু করেছেন তাঁরা। পরিদর্শনের ভিত্তিতে আগামী দিনে বিধি তৈরি করা হবে।