Plane

রাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় পুজোর মুখে বিমানযাত্রায় বাড়ছে হয়রানি

  বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কর্তা এবং ট্র্যাভেল এজেন্টরা মনে করছেন, দুর্গাপুজো, কালীপুজো এবং দীপাবলি যত এগিয়ে আসবে, টিকিটের চাহিদাও ততই বাড়বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ০২:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুজোর মুখে বাড়ি ফেরার চেষ্টা ক্রমশ বাড়ছে। ভিন্ রাজ্যে বসে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা কয়েক দিনের জন্য ফিরতে চাইছেন কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।লকডাউনের পরে গত ২৮ মে কলকাতা থেকে সীমিত সংখ্যক উড়ান নিয়ে আবার চালু হয় বিমান পরিষেবা।

Advertisement

আস্তে আস্তে যাত্রী এবং উড়ানের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লকডাউনের পর থেকে হিসেব করলে সোমবারই সব চেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী আসা-যাওয়া করলেন কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে। ১২৯টি উড়ান থেকে এ শহরে নামলেন ১৪ হাজার ৬৮৮ জন যাত্রী। আর এখান থেকে ১৩৩টি উড়ানে অন্য শহরে উড়ে গেলেন ১৯ হাজার ১১০ জন যাত্রী।

বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কর্তা এবং ট্র্যাভেল এজেন্টরা মনে করছেন, দুর্গাপুজো, কালীপুজো এবং দীপাবলি যত এগিয়ে আসবে, টিকিটের চাহিদাও ততই বাড়বে। তবে, এখনও দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, আমদাবাদ, পুণে ও নাগপুর — এই ছ’টি শহরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই সমস্ত শহর থেকে বেশি সংখ্যক যাত্রীরা এলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় প্রথমে ওই ছ’টি শহর থেকে কলকাতায় আসার সরাসরি উড়ান একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে সপ্তাহে তিন দিন করে উড়ান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহের সোম, বুধ ও শুক্রবার ওই ছয় শহর থেকে সরাসরি উড়ান আসছে কলকাতায়।‘ট্র্যাভেল এজেন্ট ফেডারেশন’-এর পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান

Advertisement

অনিল পঞ্জাবি বললেন, ‘‘অন্যান্য দিন যাঁরা আসতে চাইছেন, তাঁদের অন্য শহর ঘুরে আসতে হচ্ছে। কেউ মুম্বই থেকে বারাণসী হয়ে আসছেন। কেউ দিল্লি থেকে গুয়াহাটি হয়ে। এতে অনেক বেশি টাকা তো লাগছেই। তা ছাড়া, এতটা পথ পেরিয়ে এবং এত বেশি সময় ব্যয় করে আসতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে মূলত বয়স্ক এবং শিশুদের।’’

‘ট্র্যাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান মানব সোনির কথায়, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবরের গোড়া থেকেই ওই ছ’টি শহর আর কলকাতার মধ্যে সাত দিন উড়ান চালানোর অনুমতি পাওয়া যাবে। ১৫ অক্টোবরের পরেও এই নিষেধাজ্ঞা থাকলে আমরা আবার রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে আর্জি জানাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement