—ফাইল চিত্র
আগে একাধিক বার সমস্যা হয়েছিল। টানা দু’দিন ব্রিজ বন্ধ রেখে মেরামত করা হয়েছিল মাস কয়েক আগেই। তার পরেও ফের বাস্কুল সেতুতে সমস্যা। যার জেরে মঙ্গলবার থেকে টানা দু’দিন সেতু বন্ধ থাকায় খিদিরপুর ও বন্দর এলাকায় যানজটে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ জাহাজ চলাচলের জন্য বাস্কুল সেতু খুলে দেওয়া হয়। সকাল দশটা নাগাদ সেতু বন্ধ করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। কলকাতা বন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রিজের চারটি লকের একটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। ফলে সেতু পুরো লক হয়নি। কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ার ও মেকানিকেরা লকটি সারানোর কাজ করছেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালের আগে সেই কাজ শেষ হবে না।’’
এ দিকে, দু’দিন ধরে সেতু বন্ধ থাকায় খিদিরপুর থেকে বন্দর এলাকায় যাওয়ার জন্য ডক ইস্ট বাউন্ডারি রোড, রিমাউন্ট রোড, কোল বার্থ রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পুলিশ জানায়, বাস্কুল সেতু বন্ধ থাকায় রাতের দিকে কলকাতা বন্দর এলাকায় বেশি যানজট হয়। কারণ, ওই সময়ে বন্দরে আসা জাহাজ থেকে জিনিস নিয়ে ভারী গাড়ি পথে নামে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, সেতু বন্ধ থাকায় বেশ কিছু মালবাহী গাড়ির যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
বন্দর সূত্রের খবর, অস্ট্রিয়ার একটি সংস্থার তৈরি এই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ১৫ নভেম্বর। তার পর সে ভাবে সংস্কার হয়নি সেতুর। খিদিরপুর ডকে জাহাজ ঢোকার সময়ে সেতুটি আড়াআড়ি ভাবে লেভেল ক্রসিংয়ের মতো উঠে যায়। জাহাজ পেরিয়ে গেলে জুড়ে দেওয়া হয়।
সেতুটির আমূল সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের। সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘বাস্কুল সেতু পুরো সংস্কার করতে প্রায় ছ’মাস লাগবে। দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। আন্তর্জাতিক স্তরের সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, সে সময়ে একটানা সেতু বন্ধ থাকলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এ জন্য ডক ইস্ট বাউন্ডারি রোড সম্প্রসারণের কথা ভাবা হচ্ছে। সে কাজে কলকাতা পুরসভা, পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।