ছবি: সংগৃহীত
আজ জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে একটি গাছ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কমল ধীবর (৩২)। তাঁর বাড়ি বীরভূমের দেবীপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের লাগোয়া একটি বটগাছ থেকে ওই যুবককে গলায় মাফলারের ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান লোকজন। তিনি প্রায় ১৮ ফুট উঁচু একটি গাছের ডাল থেকে ঝুলছিলেন। পুলিশ তাঁকে বটগাছ থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রথমে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরে মৃতের প্যান্টের পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে একটি আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়। যাতে তাঁর নাম-পরিচয় লেখা ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সুন্দরী বাগদি নামে এক মহিলা বুধবার ভোরের দিকে মারা যান। তদন্তকারীরা জানান, সুন্দরী অন্ধ্রপ্রদেশের পালসা রেলস্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমলই তাঁকে আর জি করে ভর্তি করেন। সুন্দরী মারা যাওয়ার পরে তাঁর আত্মীয় হিসাবে হাসপাতালের তরফে কমল ধীবরের নাম মাইকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছিল। পরে বেলা ৩টে নাগাদ তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কমল মৃতা সুন্দরীর নিকটাত্মীয় ছিলেন। হাসপাতালের খাতায় মৃতার স্বামীর নাম লেখা রয়েছে নবকুমার ভারতী। এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। তবে কমল কী কারণে আত্মহত্যার করেছেন, সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার হতে পারেনি পুলিশ। টালা থানার পুলিশ মৃতের বাড়ি বীরভূম পুলিশের কাছে খবর পাঠিয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে টালা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে হাসপাতাল চত্বরের গাছ থেকে দিনেদুপুরে এ ভাবে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নজরদারি নিয়ে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে গাছে যুবকের দেহ ঝুলছিল সেটি ট্রমা কেয়ার সেন্টারের একেবারে পিছনে। সে দিকে কেউ যাতায়াত করেন না। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’