Pollution

দূষণে হাঁসফাঁস করছে শহর, এবার ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য উড়ালপুলের তলায় ‘চার্জিং পয়েন্ট’

কী ভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, মেয়র পদে দায়িত্ব নিয়ে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:০৭
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

শহরে সবুজ কমছে। গাছ কেটে হুড়মুড়িয়ে মাথা তুলছে বহুতল। অন্যদিকে, পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ির ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে শহরের আকাশ। দূষণের ঠেলায় কার্যত হাঁসফাঁস করছে কলকাতা।

Advertisement

কী ভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, মেয়র পদে দায়িত্ব নিয়ে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতাকে ‘গ্রিন সিটি’ করতে চান তিনি। সে জন্য যেমন গাছ লাগানোর উপরে জোর দিয়েছেন, তেমনই এবার শহরে যাতে বেশি সংখ্যায় ইলেকট্রিক গাড়ি চলাচল করে, সে বিষয়েও উদ্যোগী হয়েছেন ফিরহাদ।প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে উড়ালপুলগুলির তলায় ‘চার্জিং পয়েন্ট’ তৈরি করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন মহানাগরিক।তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা হয়েছে। শহরে ইলেক্ট্রিক গাড়ি চললে দূষণের মাত্রাও কমবে।”

মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ফিরহাদ ঘোষণা করেছিলেন, কেউ নিজের জমিতে ‘আরবান ফরেস্ট্রি’ করলে, ওই জমির আয়তনের উপরে ৯০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে। ফলে গাছ লাগালে যেমন দূষণ কমবে। তেমনই পেট্রোল ডিজেলের বদলে ইলেক্ট্রিক গাড়ি বেশি সংখ্যায় চললেও দূষণ কমবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাস্তা, উড়ালপুল দেখভাল করবে কে? রাজ্যকে প্রস্তাব ফিরহাদের​

আরও পড়ুন: ‘গব্বর চুহা নেহি মারতা’, ডনকে ফাঁসাচ্ছে পুলিশ, দাবি বোনের​

এ বছর শীতের মরসুমে শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিনে বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫ (ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা)-এর পরিমাণ ৪০০ বা তার বেশি রয়েছে। এমনকি, ভোরের দিকেও পিএম ২.৫ পৌঁছে যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ ঘরে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, পিএম ২.৫ ধূলিকণার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার। এত ছোট বলেই এই কণাগুলি বাতাসের সঙ্গে খুব সহজে আমাদের শরীরের কোষগুলিতে ঢুকে যেতে পারে। যার প্রভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। শিশু এবং বয়স্করা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চর্ম রোগ এবং ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়।বাতাসে পিএম ২.৫–এর পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ থাকলে ভাল বলা হয়। পরিমাণ ১০০ হয়ে গেলেও তা সহনযোগ্য। কিন্তু তা ২০০ পেরিয়ে গেলেই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে শুরু করে।সোমবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূষণ সূচক যন্ত্রে সকাল ৬টায় বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫-এর ছিল গড়ে ৪১১। বেলা ৩টের সময় ছিল ৪১৫।একই রকম ভাবে দক্ষিণের দিকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দূষণ সূচক যন্ত্রে পিএম ২.৫-এর মাত্রা ছিল গড়ে ৩৫০।

দূষণ জর্জরিত কলকাতাকে স্বস্তি দিতে মেয়রের ওই ভাবনা বলেই পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement