র্যাগিং রুখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পদাধিকার বলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও বটে। বৈঠকে যোগ দেন যাদবপুরের নবনিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ছিলেন রাজ্যপালের তৈরি করে দেওয়া অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির প্রধান তথা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ও।
রাজভবন সূত্রে খবর, বৈঠকে র্যাগিং রোধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। যাদবপুরের বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়েও উপাচার্যের কাছে বিস্তারিত জানতে চান বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে টালবাহানা চলছে কেন, তা-ও জানতে চান তিনি।
বৈঠকে যাদবপুরের উপাচার্য দাবি করেন যে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, সেই কমিটি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ এসেছে তাঁর কাছে। রাজ্যপাল তখন তাঁকে জানান, প্রয়োজনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সদস্যদের নিয়েও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারবেন। অবশ্য অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কোনও রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি যাদবপুরের নতুন উপাচার্য। তাই ওই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি কিছু জানাতে পারেননি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর যাদবপুরের উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম মোতাবেক তাঁকে সমস্ত পদক্ষেপ করতে বলেছেন।
এর আগে রাজভবনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠক ডেকেছিলেন আচার্য। রাজ্যপাল নিজের বাসভবনে এ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠক ডাকতে পারেন কি না, তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। যদিও কোর্ট মিটিং রাজভবনেই হয়। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন। যা শুধু যাদবপুর নয়, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এ ছাড়াও যাদবপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েও বিশদে আলোচনা হয়। তার পরেই নতুন ভিসি নিয়োগ করেন আচার্য। সেই পর্ব শেষে বৃহস্পতিবার আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক করলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস।