রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগ (ডব্লিউএইচএল) এবং ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি অব হাইপারটেনশন। তাতে সামিল হচ্ছে কলকাতাও। এই সচেতনতা প্রকল্পের নাম এমএমএম ২০১৭, অর্থাৎ ‘মে মেজারমেন্ট মান্থ’। সারা বিশ্বে আড়াই কোটি মানুষের রক্তচাপ পরীক্ষা করা হবে আগামী মে মাসে। ভারতের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ লক্ষ। ইতিমধ্যেই তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি পাবলিক হেল্থ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। শুক্রবার পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায় জানান, কলকাতা দেশের একমাত্র পুরসভা, যা সারা বিশ্বের সঙ্গে একযোগে ওই প্রকল্পে সামিল হবে।
পাবলিক হেল্থ ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে রক্তচাপ জনিত রোগ ক্রমশই বাড়ছে। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রক্তচাপ বৃদ্ধি অন্য রোগ বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তা ছাড়া, একটা সময়ে অনেকের ধারণা ছিল এই সমস্যা কেবল বড়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এখন সেই ভুল ভাঙছে। ইন্টারন্যাশানাল সোসাইটি অব হাইপারটেনশন মনে করে ১৮ বছর বয়সের পর থেকেই রক্তচাপ পরীক্ষা করানো জরুরি। রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রবণতা রুখতেই এই পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছে তারা। অথচ সদ্য ১৮ পার হওয়া অনেকেই রক্তচাপ পরীক্ষা করান না। বিশ্ব রক্তচাপ দিবসের কথা মাথায় রেখে বিশ্ববাসীকে সচেতন করাই তাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
তপনবাবু জানান, প্রকল্পে বলা হয়েছে ১৮ বছর পার হয়েছে অথচ ২০১৬-র ৩০ এপ্রিলের পরে যারা রক্তচাপ পরীক্ষা করাননি, দেশ জুড়ে সেই যুবক-যুবতীদের এই সচেতনতার মাপকাঠিতে আনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার নিরিখে নির্ধারিত হবে যে ক’জনের রক্তচাপ পরীক্ষা করা হবে। মে মাসে ২৫ দিন ওই পরীক্ষা হবে। কলকাতা পুর প্রশাসনও শহরের প্রতিটি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মে মাস জুড়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করবে। রক্তচাপ মাপায় এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প হবে বলে দাবি সংগঠনের কর্তাদের।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, রক্তচাপ বৃদ্ধি জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কলকাতাতেও বেশি। যা মূলত খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত। সে সব বিবেচনা করেই শহরবাসীর সচেতনতা বাড়াতে সারা বিশ্বের সঙ্গে কলকাতাও তৈরি হচ্ছে এমএমএম ২০১৭-এ অংশগ্রহণে।