ফুয়াদ হালিম।
ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমকে চিঠি দিয়ে তথ্য-তলব করল নিউ মার্কেট থানা। মইদুলের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিকে মৌলালিতে পুলিশ নিগ্রহের ঘটনায় তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। ২৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কয়েকজন বাম নেতারও।
মঙ্গলবার মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় বামেদের তরফে রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি চলছে। সোমবারও এই ঘটনার প্রতিবাদে মৌলালিতে প্রতিবাদ চলছিল। তখনই নিগৃহীত হন এক পুলিশকর্মী। তাঁর উর্দিও টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রাণভয়ে ওই পুলিশকর্মী একটি রেস্তরাঁয় আশ্রয় নেন। এই ঘটনায় প্রেক্ষিতে তালতলা থানায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাম যুবনেতাদের বিরুদ্ধে।
একই সঙ্গে মইদুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। মইদুলের চিকিৎসা হয়েছে মধ্যকলকাতার একটি নার্সিংহোমে। চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ফুয়াদ হালিম। কেন তাঁকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি? দেরি করে কেন ১৩ তারিখে তাঁর পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়? এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে ফুয়াদ হালিমের কাছে তথ্য-তলব করা হয়েছে বলে নিউমার্কেট থানা সূত্রে খবর। এ বিষয়ে ফুয়াদ বলেন, “আমি লিখিত ভাবে মইদুলের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিউ মার্কেট থানায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।”