প্রতীকী ছবি।
কখনও রেষারেষি করতে গিয়ে, কখনও আবার খরচ বাঁচিয়ে দিনের পর দিন ‘রিসোল টায়ার’ ব্যবহার করে যাওয়ার মাসুল হিসেবে একের পর এক বাস দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে শহরে। গত মাসেই ১৫ দিনে চারটি বাস দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর পরে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করতে হয়েছিল পুলিশকে। একাধিক কড়াকড়ির কথা ঘোষণাও করে লালবাজার। তার পরেও যে পরিস্থিতির তেমন কোনও বদল হয়নি, তা ফের প্রমাণ করল শনিবারের একটি বাস দুর্ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার সকালে এপিসি রোডে রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি সরকারি বাসের সঙ্গে একটি বেসরকারি বাসের রেষারেষিতেই এমন কাণ্ড! দুর্ঘটনায় চার জন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। পুলিশ দু’টি বাসের চালককেই গ্রেফতার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ একটি সরকারি বাসের পিছনে একটি বেসরকারি বাস যাচ্ছিল। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে তাদের মধ্যে একে অপরকে পিছনে ফেলার প্রতিযোগিতা চলছিল। রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর কাছে রাস্তার জমা জলের সামনে পড়ে প্রথমে থাকা বাসটি জোরে ব্রেক কষে। তখনই পিছনের বেসরকারি বাসটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না-পেরে সামনের বাসের পিছনে ধাক্কা মারে।
আহত চার জনকে দ্রুত শিয়ালদহের ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রাতের দিকে তাঁদের সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরে স্থানীয়েরা দু’টি বাসের চালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দু’জন চালককে গ্রেফতার করে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘এমন দুর্ঘটনার রুখতে আর কী করা যায়, দেখা হচ্ছে।’’
তবে এ দিন বেলার দিকে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এস পি মুখার্জি রোড এবং রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে। সেখানে একটি মোটরবাইক একটি অটোয় ধাক্কা মারলে জখম হন অটোর তিন যাত্রী। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন মোটরবাইকের চালক এবং আরোহীও। দু’জনেই রাত পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।