নকল সিমেন্টের সেই কারখানা। নিজস্ব চিত্র
নামী সংস্থার লোগো ব্যবহার করে নকল সিমেন্ট ও দেওয়াল পুট্টি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে সেই কারখানার হদিস পেল পুলিশ। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতে মহেশতলা থানার পুলিশ পালান ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার দু’টি গুদামে হানা দিয়ে সেই কারখানার খোঁজ পেয়েছে। রাতেই আটক করা হয়েছিল সংস্থার মালিক, ম্যানেজার ও কর্মচারী-সহ চার জনকে। রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অনিন্দ্য ভট্টাচার্য, শ্যামকুমার বারিক, গঙ্গা শাহ এবং ধনঞ্জয় সিংহ।
পুলিশ সূত্রের খবর, একটি নামী সংস্থার লোগো জাল করে সিমেন্ট এবং দেওয়াল পুট্টি তৈরি হত গুদামে। কিছু দিন ধরেই ওই সংস্থার নাগরিক পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করে গ্রাহকেরা তাদের দেওয়াল পুট্টি এবং সিমেন্টের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। এর পরেই সংস্থার তরফে তদন্তে নেমে জানা যায়, তাদের নির্দিষ্ট কারখানায় সেগুলি তৈরি হচ্ছিল না। মহেশতলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার কিছু গুদাম ভাড়া করে সিমেন্ট ও দেওয়াল পুট্টি তৈরি হচ্ছে। তাতে তাদের সংস্থার লোগো জাল করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এর পরেই মুম্বইয়ের ওই সংস্থার কর্তারা শনিবার রাতে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই ওই এলাকায় হানা দিয়ে লক্ষাধিক টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে। গুদাম দু’টি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। গুদামের মালিক, ম্যানেজার-সহ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মালিকপক্ষ গুদাম দু’টির যে সমস্ত নথি দেখিয়েছে তা ঠিক নয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক আমদানি করে ওই দুই গুদামে নকল সিমেন্ট এবং দেওয়াল পুট্টি তৈরি হচ্ছিল। সেখানেই ওই নামী সংস্থার লোগো লাগিয়ে সে সব বাজারে বিক্রি করা হত।
n নকল সিমেন্টের সেই কারখানা। নিজস্ব চিত্র