ধৃত বাবাই। — নিজস্ব চিত্র
এক সময়ে শাসক দল তৃণমূলের নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথার উপরে। তাই পুলিশ পিটিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি। শেষ কয়েক মাস আগেই সরে গিয়েছে সেই ছত্রচ্ছায়া। ফলে গ্রেফতার করে একেবারে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘাড় ধরে তাঁকে গাড়িতে তুলল পুলিশ। প্রায় ছ’ মাস ফেরার থাকার পরে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার হলেন বাগুইআটি এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা বিশ্বজিৎ ওরফে বাবাই বিশ্বাস। বিরাটির মহাজাতি নগর এলাকার একটি আবাসনে যৌথ ভাবে হানা দিয়ে তাঁকে ধরে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও বিমানবন্দর থানা।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেষ্টপুরের জগৎপুর এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়ো। ওই ঘটনায় আগেই ১২ জন দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছিল। যাদের অন্যতম ভাড়াটে খুনি বাপি রমণ। তদন্তে সঞ্জয়-খুনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নাম জড়ায় বাবাইয়ের। এপ্রিল থেকেই গা ঢাকা দেন বাবাই। মে মাসের শুরুর দিকে বাবাইয়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান সন্তোষ পাণ্ডে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন বিরাটির ফ্ল্যাট থেকে বাবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানেই শেষ কয়েক মাস তিনি আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানান গোয়েন্দা প্রধান। আজ, শনিবার বাবাইকে বারাসত আদালতে হাজির করবে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিহত সঞ্জয় রায়ও প্রথমে বাবাইয়ের ঘনিষ্ঠ পরিচিত ছিল। কিন্তু পরে তোলার বখরাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।