প্রতীকী ছবি।
পুলিশে চাকরি পেতে গেলে টাকা দিতে হবে সিবিআই অফিসারকে। এমনটাই বোঝানো হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীকে। সেই মতো সোমবার টাকা দেওয়ার কথা ছিল টালিগঞ্জের রিজেন্ট পার্কে। চাকরিপ্রার্থী টাকা ভর্তি ব্যাগ হাতে তুলে দিতেই কয়েক জন ঘিরে ধরেন মাঝবয়সি ‘সিবিআই অফিসার’কে। পথচলতি মানুষজন প্রথমে ভেবেছিলেন, ওঁরা একদল ছিনতাইবাজ। কিন্তু কেউ কিছু বোঝার আগেই মাঝবয়সিকে নিয়ে মিলিয়ে যায় ‘পুলিশ’ স্টিকার সাঁটা গাড়ি।
বারাসত থানার পুলিশ পরে জানায়, সিবিআই অফিসার সাজা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম রাহুল চৌধুরী। মাস দু’য়েক আগে বারাসতের টাকি রোডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে রাহুল। সেখানে সে নিজেকে প্রশান্ত চৌধুরী বলে পরিচয় দিয়েছিল। পাশের ইন্দিরা মার্কেটের একটি দোকান থেকে সে নিয়মিত আনাজ কিনত। অপর্ণা মজুমদার নামে এক মহিলা ওই দোকানটি চালান। তাঁর মাধ্যমিক পাশ ছেলে মিলন দোকানে মাকে সাহায্য করত।
রাহুল নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে মিলনকে পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দেয়। তার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে সে। নিজের গয়না বিক্রি করে, চড়া সুদে টাকা ধার করে এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে নিয়ে দফায় দফায় মোট সাত লক্ষ টাকা রাহুলকে দেন অপর্ণা। সম্প্রতি রাহুল জানায়, আরও এক লক্ষ টাকা পেলে চাকরির চিঠি দেবে সে। তত দিনে অপর্ণারা বুঝে গিয়েছেন যে, প্রতারিত হয়েছেন। শুক্রবার বারাসত থানায় অভিযোগ জানান তিনি। পুলিশ মিলনকে দিয়ে ফোন করিয়ে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলে। টাকা নিতে এসেই সাদা পোশাকের পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রাহুল।