সাত দিনের মধ্যে বদলি কার্যকরের নির্দেশ হাই কোর্টের। ফাইল চিত্র।
শিক্ষকের বদলির নির্দেশ তিন বছরেও কার্যকর করেননি। এই কারণে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজের পকেট থেকে ওই টাকা তাঁকে রাজ্য লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি-র তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই শিক্ষকের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ওই স্কুল পরিদর্শককেই। সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দেশ মানা হয় কি না, তা দেখতে দু’সপ্তাহ পর আবার মামলাটি শুনবে বলেও জানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।
বছর দশেক আগে কাটোয়া হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান ন্যাজাটের বাসিন্দা গোপাল মাহাতো। পরে ক্যানিংয়ের ট্যাংরাখালি হাই স্কুলে পদ ফাঁকা থাকায় সেখানে বদলির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু স্কুল পরিদর্শককের গড়িমসির কারণে তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ। এর পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সেই শিক্ষক। এই মামলায় ২০১৯ সালে আদালত গোপালবাবুর বদলি কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। তার পর কেটে গিয়েছে দু’বছর। শিক্ষকের অভিযোগ, এখনও তাঁকে বদলি করা হয়নি। এ নিয়ে আবার আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্কুল পরিদর্শক। অবিলম্বে শিক্ষকের বদলির নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজে গড়িমসির জন্য তাঁকে জরিমানা করে হাই কোর্ট।
যদিও আবার বিকালে মামলার শুনানিতে জরিমানা মুকুবের আর্জি জানান স্কুল পরিদর্শক। আদালতে তিনি জানান, একটা বোঝাবুঝির ভুল হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশ মেনে সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যেই শিক্ষকের বদলি কার্যকর হয়ে যাবে। পরে বিচারপতি তাঁর আবেদন মেনে নেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছে বদলির জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল করা হয়েছে। রাজ্যের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, যাঁরা পরিবার ছে়ড়ে বহু দূরে চাকরি করছেন। এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা সংশ্লিষ্ট পোর্টালে আবেদনের ভিত্তিতে বাড়ির নিকটবর্তী স্কুলে বদলি হতে পারবেন।