আপাতত সারিয়েই চলবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত শহরের যে ক’টি উড়ালপুল বা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি সেতু মেরামতি করে চললেও দু’তিনটি সেতু ভেঙে ফেলতে হতে পারে।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

এখনই ভাঙা হবে না। আপাতত সংস্কারের কাজ হবে এই উড়ালপুলে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

আপাতত মেরামতি করে কাজ চললেও চিংড়িঘাটা উড়ালপুল ভেঙে ফেলে তার পরিবর্তে নতুন উড়ালপুল তৈরি করতে হবে। ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। নতুন উড়ালপুল যাতে আয়তনে বড় হয় এবং যাওয়া ও আসার দু’টি রাস্তাই থাকে, সেই ব্যাপারেও পরিকল্পনা করার কথা ভাবা হয়েছে।

Advertisement

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত শহরের যে ক’টি উড়ালপুল বা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি সেতু মেরামতি করে চললেও দু’তিনটি সেতু ভেঙে ফেলতে হতে পারে। চিংড়িঘাটা উড়ালপুল যার অন্যতম। চেতলা লকগেট সেতুটিও ভেঙে নতুন করে গড়ার প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে বাঘা যতীন ও কালীঘাট উড়ালপুল আপাতত মেরামতি করলেই চলবে।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, উড়ালপুল এবং সেতুগুলির মেরামতি কী ভাবে করা হবে, সে ব্যাপারে নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উড়ালপুল বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এই মুহূর্তে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল ভেঙে নতুন করে তৈরি করা সম্ভব নয়। এই ধরনের উড়ালপুল ভেঙে তৈরি করতে গেলে আগে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে, যে নির্মাণ সংস্থা ওই উড়ালপুল তৈরি করেছিল, তারাই আরও বছর পাঁচেক ওই উড়ালপুলটির রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তার পরেই সেটি পুরোপুরি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে। এই পাঁচ বছরে ওই উড়ালপুল দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

Advertisement

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই উড়ালপুলটি চিংড়িঘাটার মুখ থেকে শুরু হয়ে সরাসরি সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে যাওয়ার রাস্তায় গিয়ে পড়ে। যার ফলে চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট অনেকটাই কমে যায়। ওই উড়ালপুল দিয়ে শুধুমাত্র সল্টলেক অভিমুখেই যান চলাচল করে। কেএমডিএ-র কর্তারা বলছেন, নতুন উড়ালপুলে দু’টি লেন থাকলে যানবাহনের গতি আরও বাড়বে এবং যানজটও কম হবে। প্রাথমিক সমীক্ষায় দুই লেনের রাস্তা করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলেই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে সমস্যা কোথায়?

কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানান, ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাঁকের অংশেই সমস্যা রয়েছে। ২০১৮ সালে উড়ালপুলের একাংশে রাস্তার উপরে ফাটল দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, ওই উড়ালপুলের নকশা নিয়েও আধিকারিকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। বছর দুই আগে চিংড়িঘাটার কাছে রাস্তা পারাপারের জন্য একটি সাবওয়ে তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও ওই উড়ালপুলের নড়বড়ে কাঠামোর জন্য তা বাতিল করা হয় বলেও কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement