Lal Bazar

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে থানায় থানায় ক্যামেরা বসাতে তৎপর লালবাজার

লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানায় বর্তমানে তিনটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

থানার ভিতরে এবং বাইরে সিসি ক্যামেরা বসানোর যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তা জানার পরে নড়েচড়ে বসল লালবাজার। প্রতিটি থানায় সার্কুলার পাঠিয়ে লালবাজার জানতে চেয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কোথায় কোথায়, কতগুলি সিসি ক্যামেরা নতুন করে বসাতে হবে। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের (সংগঠন) তরফে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। থানার কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে তা লিখে পাঠাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানায় বর্তমানে তিনটি করে সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। থানার সেরেস্তা, লক-আপ এবং থানায় ঢোকার মুখে ওই ক্যামেরাগুলি রয়েছে। ওই সমস্ত ক্যামেরার মাধ্যমে ওসির ঘর থেকে নজরদারি চালানো হয়। শহরের মহিলা থানা-সহ ১২টি থানায় গত মাস পর্যন্ত ওই সিসি ক্যামেরা ছিল না। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশের পরেই লালবাজার তড়িঘড়ি ওই সমস্ত থানাকে সিসিটিভি-র নজরবন্দি করেছে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অডিয়ো রেকর্ডিং-ও করতে হবে, যা বর্তমান ব্যবস্থায় নেই বলেই সূত্রের দাবি। ফলে বর্তমানে প্রতিটি থানায় তিনটি করে ক্যামেরা থাকলেও সেগুলি বদলে নতুন ক্যামেরা বসাতে হবে লালবাজারকে।

পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের পাঠানো ওই বার্তায় থানাগুলিকে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশটি কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে পড়ে নিতে হবে। এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের তরফে থানার যেখানে যেখানে সিসি ক্যামেরা লাগাতে বলা হয়েছে, তার একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে লালবাজারের পাঠানো বার্তায়। সেই তালিকা অনুযায়ী, প্রতিটি থানার ঢোকার ও বেরোনোর পথে, মূল গেটে, প্রতিটি লক-আপে, লবিতে, করিডরে, রিসেপশনে, বারান্দায়, ইনস্পেক্টর বা ওসিদের ঘরে, সাব-ইনস্পেক্টর ও অফিসারদের ঘরে, লক-আপের বাইরের অংশে, স্টেশন হলে, থানা চত্বরের সামনে, শৌচাগারের বাইরে, ডিউটি অফিসারের ঘরে ও থানার পিছনের দিকে সিসি ক্যামেরা থাকতে হবে।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই তালিকা অনুযায়ী ক্যামেরা বসানোর পরেও থানার কোনও অংশ সিসি ক্যামেরার আওতার বাইরে থাকলে তা ওসিদের জানাতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ক্যামেরাতেই থাকতে হবে নাইট ভিশন। সেই সঙ্গে ক্যামেরার অডিয়ো এবং ভিডিয়ো যাতে আঠারো মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়, তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। লালবাজার জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার তথ্যের সংরক্ষণ থানার ওসি-দেরই করতে হবে।

লালবাজার সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১৪টি জায়গা ছাড়াও বিভিন্ন থানার তরফে অতিরিক্ত ক্যামেরা বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে লালবাজারকে। বিভিন্ন থানার ওসিরা লালবাজারকে তা জানিয়েছেন। ওই সব সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ কবে শেষ হবে? এক পুলিশকর্তা জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। তার আগেই সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শেষ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement