ফাইল চিত্র।
আশঙ্কাই সত্যি হল। সময় মতো কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র জোগাড় করতে না-পারায় দীর্ঘ ১৪ বছর পরে লন্ডন-কলকাতা সরাসরি উড়ানে বুধবার মাঝরাতে শহরে এসে নামলেন মাত্র ১৪ জন।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যত্র বাধ্যতামূলক না-হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিদেশ থেকে আসার সময়ে সঙ্গে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক করেছে। উড়ান ছাড়ার আগের ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে তার জন্য লালারসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। এখানেই সমস্যায় পড়ে যান লন্ডন থেকে কলকাতাগামী যাত্রীরা। বুধবারের উড়ান ধরার ৯৬ ঘণ্টা আগে সপ্তাহান্তে শনি ও রবিবার সে দেশে বেশির ভাগ বেসরকারি ল্যাবরেটরি বন্ধ থাকায় অনেকেই পরীক্ষা করাতে পারেননি। আবার, সোমবার লালারস দেওয়ার পরে তার রিপোর্ট বুধবারের উড়ান ধরার আগে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অনেকেই তাই আগামী শনিবার দ্বিতীয় উড়ানের টিকিট কেটেছেন। মনে করা হচ্ছে, প্রতি বুধবারেই লন্ডন-কলকাতা উড়ানে এই সমস্যা হতে পারে।
এই রুটে এয়ার ইন্ডিয়া যে ড্রিমলাইনার বিমান চালাচ্ছে, সেখানে যাত্রী ধরে আড়াইশো। বুধবারের উড়ানে বিজ়নেস শ্রেণিতে এসেছেন দু’জন, ইকনমি শ্রেণিতে ১২ জন। আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতা-লন্ডন উড়ানে ১১৪ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জন রয়েছেন বিজ়নেস শ্রেণিতে।
কেন্দ্রের বন্দে ভারত প্রকল্পে আপাতত এই একটি উড়ানের ক্ষেত্রেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। ঠিক হয়েছে, প্রতি সপ্তাহের বুধবার ও শনিবার রাতে উড়ান আসবে লন্ডন থেকে। বৃহস্পতি ও রবিবার সেটি কলকাতা থেকে উড়ে যাবে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি এ দিন সকালে দুবাই থেকে এমিরেটসের বুদবুদ উড়ানে ১৭৯ জন যাত্রী কলকাতায় এসেছেন। এখান থেকে গিয়েছেন ১১০ জন। শুধু দুই দেশের মধ্যে যাত্রী-উড়ান চালানোর জন্য ভারতের সঙ্গে কয়েকটি দেশের বুদবুদ উড়ান চালানোর চুক্তি হয়েছে। জরুরি কারণে যাঁদের যাতায়াতের প্রয়োজন, শুধু তাঁদেরই ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে শনিবার কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করবে এয়ার ইন্ডিয়ার আরও একটি উড়ান।