প্রতীকী ছবি।
বিদেশি গ্রাহকদের প্রতারণার ঘটনায় মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হল এক মহিলা-সহ পাঁচ জনকে। ধৃতদের বুধবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে দু’জনকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। ধৃতদের নাম পটেল রিচেশ ওরফে রেহান খান (৩২), তৌহিদ ওয়াহিদ খান (২৫), জিনাত রবিন জোসেফ (২৯), সঞ্জয় ভূপতি (২৮) এবং আশরফ গনি (২৮)। ধৃতেরা মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, বিদেশে গ্রাহকেরা প্রতারিত হচ্ছেন বলে সম্প্রতি তাদের কাছে খবর এসেছিল। সেই অনুসারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেকবাগান ও খিদিরপুর এলাকার দু’টি লজ থেকে পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এর পরেই রাতভর পাঁচ নম্বর সেক্টরের ইএন ৬৬ প্লটের দ্বিতীয় তলের একটি অফিসে হানা দেয় পুলিশ। আন্তর্জাতিক কল সেন্টারের সেই অফিস থেকে মোবাইল ফোন এবং আমেরিকার অসংখ্য বাসিন্দাদের তথ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক ধরে এই ব্যবসা শুরু হয়েছিল। ব্যবসা চালানোর বৈধ অনুমতি না দেখাতে পারায় সংস্থাটিকে ভুয়ো মনে করছেন
তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, আমেরিকায় বসবাসকারীদের প্রথমে বার্তা পাঠাতেন ধৃতেরা। আইন ভঙ্গের জন্য মামলা রুজু হয়েছে বলে ভুয়ো কেস নম্বরও দেওয়া হত তাঁদের। এমনকি জরিমানা না দিলে আইনি পদক্ষেপ করার হুমকিও দেওয়া হত। অনেকে ভয় পেয়ে ধৃতদের নির্দেশিত অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাত। এক পুলিশকর্তার কথায়, চক্রটির শিকড় কত গভীরে তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃতেরা ভিন্ রাজ্যের, ফলে সে সব জায়গায় একই ধরনের ব্যবসা চলছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।