ইলিশ-চিংড়ির উৎসব

রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাঙালির প্রিয় ইলিশ, চিংড়ির রকমারি থালার ব্যবস্থা করা হয়েছে উৎসবে। ন্যায্য দামে মৎস্যপ্রেমীরা রকমারি পদের স্বাদ নিতে পারবেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র।

মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল। না, কোনও মাঠের লড়াই নয়। ইলিশ-চিংড়ির লড়াই জমে উঠবে মাঠের বদলে পাতে। ভোজনরসিক বাঙালি একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চিংড়ি, ইলিশের নানা পদ চেখে নিতে পারবেন। শনিবার রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে নলবনে নিগমের নতুন রেস্তরাঁয় ইলিশ-চিংড়ির উৎসবের সূচনা হল। চলবে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

Advertisement

রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাঙালির প্রিয় ইলিশ, চিংড়ির রকমারি থালার ব্যবস্থা করা হয়েছে উৎসবে। ন্যায্য দামে মৎস্যপ্রেমীরা রকমারি পদের স্বাদ নিতে পারবেন।’’ ইলিশ পাতুরি, ইলিশ পোলাও, ইলিশ কোফতা, ইলিশ বিরিয়ানি, কচু ইলিশ, দই ইলিশ, ক্রিম ইলিশ, মেথি ইলিশ, বেগুন দিয়ে নোনা ইলিশ। থাকছে চিংড়ির লোভনীয় নানা পদ। লাউ চিংড়ি, চিংড়ির মালাইকারি, চিংড়ির কাটলেট, চিংড়ির খিচুড়ি।

চলতি বছরে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় বাজারে এখনও সে রকম ইলিশের দেখা মেলেনি। এলেও তার দাম প্রায় আকাশছোঁয়া। মৎস্য উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দাবি, ‘‘ইলিশ না খেলে ভোজনরসিক বাঙালির জীবনে বড় অপূর্ণতা থেকে যায়। সেই সমস্ত মৎস্যপ্রেমী বাঙালিদের কথা মাথায় রেখেই এ-হেন উৎসবের আয়োজন।’’ রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এখন মানুষের সময়ের দামও অনেক বেশি। বাড়ির মহিলারা হেঁশেল সামলানোর পাশাপাশি অফিসও করছেন। সকলের কথা

Advertisement

ভেবেই এই ইলিশ-চিংড়ি উৎসবের আয়োজন।’’ নলবনে নিগমের জলাশয়ের পাশেই বৃহস্পতিবার নতুন রেস্তরাঁর উদ্বোধন হয়। এই নয়া রেস্তরাঁয় প্রতিদিন বেলা বারোটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ইলিশ-চিংড়ি উৎসব চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement