Kolkata

সিসিইউ ফেস্টিভ্যালে ‘দাদাগিরি’, এক ঝাঁক উঠতি নক্ষত্রকে নিয়ে তিলোত্তমা সাজল উৎসবের মেজাজে

ইকোপার্কের তালকুটির কনভেনশনে আয়োজিত হয়। ছৌ নাচের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় এই উৎসবের। প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে সিসিইউ আইকনের পুরস্কার তুলে দিয়েছেন মেঘদূত রায়চৌধুরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৮:১০
Share:

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে সিসিইউ আইকনের পুরস্কার তুলে দিয়েছেন মেঘদূত রায়চৌধুরি

কলকাতাকে নতুন ভাবে চেনা, শহরের প্রতিটি অধ্যায়কে বিশ্বের দরবারে নতুন করে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি কলকাতায় সাড়ম্বরে আয়োজিত হল সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল। যে উৎসবের অন্যতম নেপথ্য কারিগর মেঘদূত রায়চৌধুরী। বিদেশ থেকে পড়াশুনা করে আসা মেঘদূতের প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল কলকাতায় নতুন কিছু করে দেখানোর; কলকাতার পুরনো গৌরবকে নবরূপে তুলে ধরার। সেই উদ্দেশ্যই বাস্তব প্রেক্ষাপটে ধরা দিল নিউটাউন ইকোপার্কের তালকুটিরের এই উৎসবে।

Advertisement

উৎসবই বটে! শহরের প্রান্ত ছাড়িয়ে বাংলার বিভিন্ন জেলার বিশেষত্ব এবং বৈচিত্র্য তুলে ধরা হল এই উৎসবের মাধ্যমে। পুরুলিয়ার ছৌ নাচ থেকে শুরু করে আধুনিক ডিজে-র তালে নাচ, সব কিছুই এক ছাতার তলায় নিয়ে হাজির করেছিল সিসিইউ ফেস্ট। সত্যিই এমন অনুষ্ঠান আগে কখনও দেখেনি তিলোত্তমা। বলা বাহুল্য, যে ভাবনা বা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে এই উৎসবের‌ আয়োজন করা হয়েছিল, তা এক কথায় সফল।

উচ্ছ্বসিত দর্শক

অবশ্যই এই উৎসব যে সাফল্যের শিখর ছুঁতে চলেছে, তার ভবিষ্যতদ্রষ্টা ছিলেন মেক ক্যালকাটা রেলেভেন্ট এগেইন এর প্রতিষ্ঠাতা তথা টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চিফ ইনোভেশন অফিসার মেঘদূত রায়চৌধুরী নিজে। তাঁর সঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিল কলকাতার তরুণ প্রজন্ম। শনিবারে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এনকেডিএয়ের চেয়ারম্যান ও হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার দেবাশিস সেন, প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ও ভারতের জাতীয় রাইফেল কোচ জয়দীপ কর্মকার, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন মানসী রায়চৌধুরি এবং অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য।

Advertisement

আলোচনায় মগ্ন

সকাল ৯:৩০টা থেকে শুরু। শেষ রাত ২:০০টো। এই দিনের আয়োজন চলে এক টানা ১৬ ঘণ্টা। মোট ১৪টি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে, জানালেন ওয়াই-ইস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সাসটেনবিলিটি ডিরেক্টর পলিন লারাভঁয়রে। একই সঙ্গে প্রায় ৫০০ জন ক্রিয়েটরকে একই ছাদের তলায় আনা হয়েছে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য।

তা ছাড়াও আপস্পার্কস, কালারি ক্যাপিটাল, এআরসি গ্রুপ, চেন্নাই এঞ্জেলস, হায়দরাবাদ এঞ্জেলস সহ ৮০টি বিনিয়োগকারী সংস্থা এ দিন উপস্থিত ছিল এই অনুষ্ঠানে। তারা কলকাতায় নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছে। এই অনুষ্ঠানেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাহায্যপ্রাপ্ত ‘মুভিং কলকাতা, কলকাতা মুভিং’ প্রকল্পের সূচনা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীনই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে সিসিইউ আইকনের পুরস্কার তুলে দেন মেঘদূত রায়চৌধুরী।

পুরনো এবং আধুনিকের মেলবন্ধন

অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মেঘদূতের কথায়, ‘কলকাতা উদ্ভাবন, খেলাধুলো, সংস্কৃতি এবং ভাল জীবনযাত্রার ক্ষেত্র। এবং সিসিইউ উৎসবের মাধ্যমে কলকাতার হারিয়ে যাওয়া গরিমা ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রের আইকনদের খুঁজে বের করা হয়েছে। কলকাতাকে নিয়ে আবারও গর্ববোধের সুযোগ করে দিয়েছে এই সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement