ফাইল চিত্র।
সাত মাসের বেশি বন্ধ থাকার পরে বুধবার লোকাল পরিষেবা শুরুর প্রথম দিনে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ যাত্রী টিকিট কেটে যাতায়াত করেছেন। মেট্রোয় এ দিন ওই যাত্রী সংখ্যার আঁচ পড়েছে। আগামী কয়েক দিন এই ভিড় অনেকটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিনের তুলনায় এ দিন যাত্রী ছিল খানিকটা বেশি। ব্যস্ত সময়ে এ দিন গড়ে ন’হাজার যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করেছেন। সকাল ৮টা-৯টার মধ্যে যাত্রী ছিলেন ৫,৩৮২ জন। পরবর্তী এক ঘণ্টায় তা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সকাল ১০টা–১১টার মধ্যে তা হয় ১০,৪৪৯। তার পরবর্তী এক ঘণ্টায় ওই সংখ্যা হয় ৭,৩৮০। দুপুরে প্রতি ঘণ্টায় যাত্রী সংখ্যা পাঁচ হাজারের আশপাশে থেকেছে। দিনের শেষে মেট্রোর মোট যাত্রী সংখ্যা প্রায় ৯৮ হাজার। মেট্রো রেলের মুখ্য
জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব–বিধি মেনে সর্বাধিক যাত্রী বহনের জন্য মেট্রো সচেষ্ট থাকবে।” লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করার প্রস্তুতি হিসেবে এ দিন প্রান্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন কবি সুভাষ এবং দমদম মেট্রোয় রক্ষী অন্যান্য দিনের তুলনায় বাড়ানো হয়েছিল।
আরও পডুন: ‘ক্যানসার তো কী? তিন জনের আসনে চার জন চেপে বসুন!’
ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরতে ছোটা যাত্রীদের অনেকেই থমকে যান স্মার্ট কার্ড এবং ই-পাসের গেরোয়। মেট্রো সফরে নিয়মের বদলে সমস্যায় পড়েন নতুন যাত্রীরা। মেট্রোর ই-পাস ডাউনলোড করতে না পেরে অনেকে শহরে আসতে গিয়ে দমদম থেকে ফের শিয়ালদহমুখী ট্রেন ধরেন। কবি সুভাষের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অনেককে অটো বা বাস ধরার জন্য ছুটতে দেখা যায়। আবার বহু যাত্রীই আরপিএফ কর্মীদের সাহায্য নিয়ে ধৈর্য ধরে অ্যাপ ডাউনলোড করে মেট্রোয় সফর করেছেন।
আরও পডুন: ‘ট্রেন না চললে হয়তো না খেয়েই মরতে হত’
শহরতলির যাত্রীদের এমন সমস্যায় ক্ষুব্ধ মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। সংগঠনের তরফে রঞ্জিত শূর দাবি জানান, রেলের মতোই মেট্রোয় কাগজের টিকিট চালু হোক। যদিও যাত্রীদের একাংশের মত, কাগজের টিকিট বা টোকেন চালু করলে মেট্রোয় সংক্রমণ বাড়বে। বাতানুকূল কামরায় দূরত্ব-বিধি রক্ষা করা না গেলে পরিস্থিতি জটিল হবে বলেই মত তাঁদের।