প্রতীকী ছবি।
“পুজোর কলকাতায় বিদেশিরা আরও আসুন! চাপ বাড়লেও সামলে নেব”— শনিবারের সুরটা বেঁধে দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি নিজেও চেতলার পুজোকর্তা। টালা প্রত্যয়ের মাঠে ‘পুজোগোগ্লোবাল’ ডাক দিয়ে সান্ধ্য অনুষ্ঠান কার্যত শহরের সব পুজোর বিজয়া সম্মেলন হয়ে উঠল।
‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর কর্তা তথা হাতিবাগানের উদ্যোক্তা শাশ্বত বসুর আক্ষেপ, কেন দুর্গাপুজো এখনও বিশ্বের দশটা পুজোর একটা নয়! বড়িশা ক্লাবের পুজোকর্তা সুদীপ পোল্লের আক্ষেপ, মুম্বইয়ের গণেশপুজোকে আমাদেরই টেক্কা দেওয়া উচিত।
‘ব্রিটিশ কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, পুজোয় মোট ৩২৩৭৭ কোটির লেনদেন হয়। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.৫৮ শতাংশ কলকাতার পুজো থেকেই। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা দেবাঞ্জন চক্রবর্তীর কথায়, “শিল্পী, ভাস্কর, ঢাকি, রেস্তরাঁ মিলিয়ে নানা ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারেও পুজোর জুড়ি নেই।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে পুজোর শিল্প, আতিথেয়তা শিল্প থেকে লোকশিল্পের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন স্থপতি সায়ন্তন মৈত্র, হোটেলকর্তা দিলীপ মিশ্র প্রমুখ। বিশ্বের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করতে এখন ইউনেস্কোয় দরবার করা চলছে। হৃদ্রোগ চিকিৎসক কুণাল সরকার বললেন, “কোভিড সামলে কলকাতার হয়ে সাংস্কৃতিক ঘেরাও করতে একজোট হতে হবে, সব পুজোকেই।”