ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
বিধাননগর পুরসভায় দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিধাননগর পুরসভা এলাকায় বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে নাম না করে চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত বলেছিলেন, পুরসভার সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। পুরসভার ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল আবার পুরসভা এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা ও পুরবোর্ডের বৈঠক ঠিকমতো না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রকাশ্যেই। পুরসভার কাজ করেও ঠিকাদাররা অর্থ পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র। উভয় ক্ষেত্রেই তাঁদের ইঙ্গিত ছিল মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর দিকে। শনিবার বিধাননগর পুরসভায় মেয়রের সঙ্গে ডেপুটি মেয়র এবং চেয়ারম্যানের মতপার্থক্যের ঘটনা প্রকাশ্যে আসা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।
প্রথমে কৃষ্ণা-সব্যসাচী দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আইনত ওখানকার যে কমিশনার রয়েছেন, তিনিই বিষয়টি দেখবেন। কোনটি আইনি আর কোনটি বেআইনি হোর্ডিং, তা আমার পক্ষে এখানে বসে বোঝা সম্ভব নয়। যাঁকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাঁর হোর্ডিং থাকবে, আর যাঁর লাইসেন্স নেই, তাঁর হোর্ডিং থাকবে না। এটিই হচ্ছে মূল বিষয়।’’ পুরমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘কৃষ্ণা চক্রবর্তী বা সব্যসাচী দত্ত কী বলছেন, আমি জানি না। এটা কমিশনারের দায়িত্ব, এগজ়িকিউটিভের দায়িত্ব। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, আইনি বিষয়টি থাকবে, বেআইনি বিষয়টি ভেঙে দিতে হবে। হোর্ডিংয়ে তো কারও নাম লেখা থাকে না। পুরসভার লাইসেন্স প্রাপ্তদের তালিকা থাকে। সেই তালিকা মিলিয়ে দেখলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’’
বিধাননগরের ডেপুটি মেয়রের রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা রাস্তা তৈরির জন্য বিধাননগর পুরসভাকে অনেক টাকা দিয়েছি। আমি বিধাননগর দিয়ে যাতায়াত করে দেখেছি, রাস্তার অবস্থা যথেষ্ট ভাল। তবে এ ভাবে সব কথা প্রকাশ্যে বলা কাম্য নয়। বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের সামনে সব কথা বলা উচিত নয়।’’ ফিরহাদ আরও বলেন, ‘‘কারও যদি সত্যি সত্যিই কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে তার জন্য সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স রয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে সেখানে জানাতে পারেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে কোনও ভাবেই মুখ খোলা যায় না। এ ভাবে দলকেও হেনস্থা করা যায় না। বিষয়টি পুরসভা বৈঠকেও জানানো যেতে পারে। এ সব কথা খেলো কথা, এ সব কাজ বিরোধীরা করে।’’