ভার্চুয়াল বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
আগামী সপ্তাহেই কলকাতায় প্রভাব ফেলতে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। শনিবার কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম গৃহবন্দি অবস্থায় ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন পুরসভার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। রবিবার থেকেই এই দুর্যোগের মোকাবিলায় নামার নির্দেশ দিলেন তিনি। ২৩ থেকে ২৮ মে কলকাতার সব ক’টি বরো অফিসে কন্ট্রোল রুম খুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন। ওই ৬ দিন এই কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে।
আদালতের নির্দেশে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাড়িতে ফেরেন পরিবহনমন্ত্রী। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, তাঁকে গৃহবন্দি থাকতে হবে। চেতলার বাড়িতে গৃহবন্দি অবস্থাতেই শনিবার ঘূর্ণিঝ়ড় মোকাবিলার বৈঠকে অংশ নেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সন্ধে পৌনে ৬টা পর্যন্ত বৈঠক হয়।
বৈঠকে ফিরহাদ গত বছরের আমপানের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। গতবারের ঘূর্ণিঝ়ড় থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহরকে দ্রুত ছন্দে ফেরাতে যা যা করণীয়, তা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আবহওয়া দফতরের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কম হয়, সে দিকেও নজর দিতে বলেছেন ফিরহাদ।
কলকাতা পুরসভায় বর্তমানে ১৬টি বরো রয়েছে। প্রত্যেকটি বরো অফিসে রবিবার থেকেই কন্ট্রোল রুম চালু হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি বোরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের। বরো অফিসে কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতির খবর পৌঁছলেই দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। বৈঠকে প্রশাসকমন্ডলীর সব সদস্য যোগ দেন। ছিলেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার। এ ছাড়াও কেইআইআইপি ও সিইএসসি-র অধিকারিকরাও ছিলেন। ১ এবং ২ নম্বর বোরোর দায়িত্বে অতীন ঘোষ। ৩ নম্বর বোরো সামলাবেন স্বপন সমাদ্দার। বোরো ৪ আমিরুদ্দিন ববি ও বোরো ৫ ইন্দ্রানী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বে। ৬ নম্বর বরোর ভার মনজর ইকবালের উপরে। ৭ নম্বর বরো দেবাশিস কুমার ও ৮ নম্বরের দায়িত্বে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। বরো ৯ সামলাবেন রাম প্যারে রাম। ১০ নম্বর রতন দে, ১১ এবং ১২ নম্বর বরোর দায়িত্বে দেবব্রত মজুমদার।
সিইএসসি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নিজেদের আলাদা দল রাখবে।