পূর্ব রেলের দফতরে আগুন। নিজস্ব চিত্র।
ঠিক কোথা থেকে প্রথম আগুন লেগেছিল? নিউ কয়লাঘাটে পূর্ব রেলের দফতরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের উৎস কোথায়? সরকারি ভাবে এর জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। যদিও দমকলের অনুমান, রেল ভবনের ১৩ তলার সার্ভার রুমেই প্রথম আগুন লেগেছিল।
এই সার্ভার রুম আসলে পূর্বরেলের অনলাইন আসন সংরক্ষণের অন্যতম তথ্যভাণ্ডার। এখান থেকেই পূর্ব রেলের অনলাইন সংরক্ষণ সংক্রান্ত নানাবিধ কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হয়। দমকল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, যে ভাবে রেলের সার্ভারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে আগুন প্রথম লেগেছে সার্ভার রুমেই। যদিও কী ভাবে সেই আগুন লেগে থাকতে পারে সে ব্যাপারে এখনও ধন্দেই দমকলের আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব রেলের দফতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর থেকেই দমকল আধিকারিকরা ওই বহুতলের ১৩ তলা এবং ১২ তলার বিভিন্ন জায়গা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দেন। এর পাশাপাশি লিফটের সামনে যেখান থেকে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই সব এলাকাও ঘুরে দেখেন তাঁরা। মঙ্গলবার তদন্ত শুরু করার কথা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। সার্ভাররুম পরীক্ষা করে দেখার পাশাপাশি লিফটের সামনে থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন তাঁরা। তা ছাড়া রেলের তরফেও সার্ভার রুমটি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সার্ভার রুমে কোনওরকম ত্রুটি ছিল কি না, তা রেলের আধিকারিকরা দমকল কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখছেন বলেও জানানো হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
বস্তুত সার্ভার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পূর্ব রেলের অনলাইন টিকিট সংরক্ষণ সংক্রান্ত কাজ অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে। সোমবারের ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধও হয়ে গিয়েছিল পূর্ব রেলের অনলাইন আসন সংরক্ষণের কাজ। মঙ্গলবার সকাল থেকে আপাতত এমার্জেন্সি সার্ভার থেকে যাত্রীদের সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।সার্ভাররুম মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রেলের সংরক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য উদ্ধারেরও চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকালেই পূর্বরেলের দফতরে আগুন লাগার ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন রেলের তদন্তকারীরা। আগুনের উৎস কোথায়, তা জানা গেলে সেই তত্ত্ব আরও স্পষ্ট হবে বলে অনুমান।