বিপত্তি: মেট্রোর কামরায় আগুন নেভানোর চেষ্টা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
এ বার আর কামরার নীচে নয়। আগুনের আতঙ্ক ছড়াল চলন্ত মেট্রোর বাতানুকূল কামরার ভিতরে। তবে যাত্রীদের তৎপরতায় বিষয়টি দ্রুত মেট্রোকর্মীদের নজরে আসায় বিপত্তি বাড়েনি। এই ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে এসি মেট্রোর রক্ষণাবেক্ষণ। ট্রেনগুলি তাদের নির্ধারিত সামর্থ্যের বেশি সময় ধরে ছুটছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন যাত্রীরা।
মেট্রো সূত্রের খবর, শুক্রবার দমদমগামী একটি এসি রেক নেতাজি ভবন থেকে ছেড়ে কিছু দূর আসার পরে একটি কামরার পিছনে প্রবীণ নাগরিকদের বসার আসনের পাশে প্যানেল থেকে আচমকা ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে এক যাত্রী সঙ্গে সঙ্গে চেন টানেন। ট্রেন ততক্ষণে রবীন্দ্র সদন স্টেশনে ঢুকতে শুরু করেছে। ঘটনাটি নজরে আসার মিনিট দুয়েকের মধ্যে বিকেল ৪টে ২৫ নাগাদ ট্রেন স্টেশনে পৌঁছনো মাত্র দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে কামরা খালি করে দেন মেট্রোকর্মীরা। এর পরে কর্তব্যরত আরপিএফ এবং মেট্রোকর্মীরা কামরায় থাকা অগ্নি-নির্বাপক বার করে তড়িঘড়ি প্যানেলের আগুন নেভান। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ফাঁকা ট্রেনটি রবীন্দ্র সদন ছেড়ে নোয়াপাড়া কারশেডের উদ্দেশে রওনা হয়।
এ দিনের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রেনের ওই কামরায় থাকা যাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে কারও জুতো খুলে যায়, কারও হাত থেকে ছিটকে পড়ে মোবাইল। ভেস্টিবিউল এবং প্রবীণ নাগরিকদের আসনের কাছে থাকা প্যানেলে এ ভাবে আগুন লাগার ঘটনা নিকট অতীতে ঘটেনি। বাতানুকূল কামরায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক জন যাত্রীর সাময়িক ভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তবে ঠাসাঠাসি ভিড় না থাকায় পরিস্থিতি তত জটিল হয়নি। যদিও ভিড় বেশি হলে কী হত, তা ভেবে যাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কিত।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও কারণে প্যানেলে থাকা কেব্ল গরম হয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি। ওই ঘটনার পরে ক্ষতিগ্রস্ত কামরার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেনটিকে মেরামতির জন্য কারশেডে নিয়ে যাওয়া হয়।