—নিজস্ব চিত্র।
চাঁদনি মার্কেট চত্বরে অগ্নিকাণ্ড। চাঁদনি মার্কেট সংলগ্ন ম্যাডান স্ট্রিটের একটি সওদাগরী অফিসের দফতরে শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে আগুন নেভানোর চেষ্টা। অবশেষে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
যে বাড়িটিতে আগুন লাগে তার ঠিকানা ৮ ম্যাডান স্ট্রিট। বাড়িটির নীচে পাথরের ফলকে লেখা ‘ইস্ট ইন্ডিয়া ইনস্যুরেন্স ভবন’। বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রে ঠাসা চাঁদনি মার্কেটের গায়েই পাঁচতলা ওই বাড়ি। আগুন লাগে বাড়িটির সবচেয়ে উপরের তলে।
ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন। — নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয়রা যাঁরা বাড়িটিতে প্রথম আগুন লাগতে দেখেন, তাঁরা জানিয়েছেন, পাঁচ তলায়, যেখানে এসি লাগানো রয়েছে, সেখানেই প্রথম আগুন দেখা যায়। ধীরে ধীরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাঁচ তলার অন্যান্য অংশেও। এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই বাড়িটির যে অফিস বা ঘরে আগুন লাগে, সেখানে বিদ্যুতের তার মজুত করা থাকে।
আগুন লাগে পৌনে ৭টা নাগাদ। বাড়ির ভিতরে তখন কম করে শ’খানেক মানুষ ছিলেন। এলআইসির অফিস থেকে শুরু করে অ্যাড এজেন্সি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অফিস রয়েছে ওই পাঁচতলা বাড়িটির ভিতরে। এ ছাড়া রয়েছে এলআইসি-সহ বেশ কিছু সংস্থার কোয়ার্টার। যেখানে কয়েকটি পরিবারও থাকে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার খবর পেয়েই নীচে নেমে আসেন সমস্ত অফিস এবং কোয়ার্টারের মানুষজন।
নীচে দাঁড়িয়ে তখন চলছে অপেক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।
এলআইসির একটি কোয়ার্টারের বাসিন্দা অন্বেষা নামের এক তরুণী জানান, তাঁর পরিবার কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকে। কিন্তু কোয়ার্টারটিতে তাঁদের জিনিসপত্র রয়েছে। আগুন লেগেছে খবর পেয়েই তাঁরা জিনিসপত্র উদ্ধার করতে এসেছেন। তাঁর বাবা কোয়ার্টারের ভিতরে ঢুকেছেন তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করার জন্য। দোতলায় তাঁদের কোয়ার্টার। তরুণী জানিয়েছেন, বাড়িতে ঢোকার পর ফোনে বাবার সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর।
ওই বাড়িতে অফিস রয়েছে শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি জানান, তাঁর ধারণা আগুন লেগেছে এসি থেকেই। যেখানে আগুন লেগেছে সেটি একটি মজুত ঘর। বিদ্যুতের তার মজুত থাকত সেখানে। সেখানেই প্রথম আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লেগেছে দেখেই তাঁরা দ্রুত অফিসটির ভিতরে থাকা লোকজনকে বাইরে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেন। পরে ঘটনাস্থলে আসে দমকলও।