স্থায়ী চাকরির দাবিতে দমকলের অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ টালিগঞ্জে।— নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা পুলিশের পর এ বার নানা দাবিতে পথ নামলেন দমকলকর্মীরাও। টালিগঞ্জ দমকল কেন্দ্রের সামনে রাস্তা আটকে চলে অবরোধ-বিক্ষোভ। শুক্রবার ওই দমকল কেন্দ্রের এক আধিকারিক গাড়ি চালানো অনুশীলন করার সময় অস্থায়ী এক কর্মীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।
শনিবার দেবনারায়ণ পাল নামে সেই কর্মীর দেহ টালিগঞ্জ দমকল কেন্দ্রে পৌঁছনোর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও স্থায়ী কর্মীদের মতো কোনও সুবিধাই দেওয়া হয় না। উল্টে কাজে না এলে, বেতন কেটে নেওয়া হয়। প্রত্যেক দমকলকর্মীকে বর্মবস্ত্র (পিপিই) দেওয়ার দাবিও ওঠে।
শুধু টালিগঞ্জেই নয়, জিটি রোডে বিদ্যুতের তারের উপরে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে সম্প্রতি মারা যান তারকেশ্বরের নারায়ণপুরের বাসিন্দা অস্থায়ী দমকলকর্মী সুকান্ত সিংহ রায়। এই দু’টি ঘটনাতে দমকল দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পাকা চাকরি নেই। তার উপর এ ভাবে জীবন বিপন্ন করে কাজ। দমকল কর্তাদের বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: করোনার থেকে চার কদম এগিয়ে দিল্লি, দাবি কেজরীর
এক দমকলকর্মীর অভিযোগ, ‘‘করোনা মোকাবিলায় বহু জায়গায় গিয়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছে হচ্ছে। ডিউটির চাপ রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। পিপিই দেওয়া উচিত কর্মীদের।’’ দমকলকর্মীরা এ ভাবে পথে নামতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল কর্তারা। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ বাহিনীও।
শুক্রবার বিকেলে সল্টলেকের এএফ ব্লকে দফায় দফায় চতুর্থ ব্যাটালিয়নের দফতর এবং ব্যারাকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুলিশকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন। অভিযোগের তির ছিল ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের দিকে। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় বর্মবস্ত্র এবং সরঞ্জাম ছাড়াই তাঁদের ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। এর আগে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস) এবং গরফা থানায় একই কারণে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। এ বার সেই পথেই হাঁটলেন দমকলকর্মীরা।