—প্রতীকী চিত্র।
মঙ্গলবার ভোরে আচমকা আগুন লাগে পাতিপুকুরের একটি কাগজের গুদামঘরে। পাতিপুকুরের মাইকেল কলোনিতে ওই কাগজের গুদাম থেকে ভোরবেলা আগুনের শিখা বার হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুনের তীব্রতা ছিল যথেষ্ট। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন দমকলে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলের কর্মীরা। আগুনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আনুমানিক ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ আগুন লেগেছিল ওই কাগজের গুদামে। কী কারণে আগুন লাগে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে ওই গুদামে। এ ছাড়া গুদামের ভিতরে প্রচুর কাগজ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘন ধোঁয়ায় চার পাশ ঢেকে গিয়েছিল।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও দুর্ঘটনাস্থলে যান সকালে। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দুর্ঘটনায় ওই গুদামটি ভস্মীভূত হয়ে গেলেও হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণও তৈরি হয়েছে। ভোর বেলায় এই দুর্ঘটনার কারণে বড়সড় কোনও অঘটন এড়ানো গিয়েছে, না হলে প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল বলে মনে করছেন এলাকাবাসীদের একাংশ।