বিপত্তি: আগুন লাগার পরে অন্ধকারে পাটুলি সাব-স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকা। শুক্রবার রাতে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
পাটুলিতে সিইএসসি-র সাব-স্টেশনে আগুন লাগা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই ঘটনাটি ঘটে। কেউ আহত না হলেও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাব-স্টেশনটি। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন গিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার জেরে পাটুলি, বাঘা যতীনের বেশ কিছু এলাকা, গড়িয়া এবং নিউ গড়িয়ার বেশ কিছু অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে থাকে দীর্ঘক্ষণ। রাত ৯টা নাগাদ বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে আসে বলে জানিয়েছে সিইএসসি।
সিইএসসি-র ১১ কেবির এই সাব-স্টেশনটি বাঘা যতীন রেল স্টেশন সংলগ্ন। পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই সাব-স্টেশনের তেতলায় আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন ও ধোঁয়ার সঙ্গে শব্দ করে কিছু ফাটারও আওয়াজ পান তাঁরা। ধোঁয়া এতটাই ছিল যে, তারা নীচ থেকে ইট ছুড়ে সাব-স্টেশনের তেতলার জানলার কাচ ভাঙতে বাধ্য হন। যাতে ধোঁয়া বেরিয়ে যেতে পারে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার সিইএসসি-র কর্মীরা ওই সাব-স্টেশনটি ফের চালু করতে ব্যস্ত। আধিকারিদের অনুমান, তেতলা ওই সাব-স্টেশনের কোনও কেব্লে আগুন লেগে এই বিপত্তি ঘটেছে। এর ফলে ওই সাব-স্টেশনের কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সিইএসসি জানিয়েছে, যে কেব্ল থেকে এই বিপত্তি ঘটেছে বলে অনুমান, সেটি তেতলা থেকে একতলায় নেমে মাটির নীচ দিয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাটির খানিকটা অংশও ফেটে যায়।
এ দিকে, আগুন লাগার পরে লোডশেডিং হতেই অনেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে জমায়েতে নিষেধ থাকলেও দেখা যায়, অনেকেই রাস্তায় ভিড় করে আছেন। পাটুলির বিস্তীর্ণ এলাকায় আলো না-থাকায় অনেকে গরমে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, করোনার আতঙ্ক আছে ঠিকই। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে আলো নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গরম আর অন্ধকারে বসে থাকতে হচ্ছে। তাই কিছু ক্ষণের জন্য বাধ্য হয়েই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা জানান, এ দিন ওই সাব-স্টেশনে আগুন লাগার আগেও দু’বার লোডশেডিং হয়েছিল গড়িয়া স্টেশন এবং নিউ গড়িয়ে এলাকায়। আগুন লাগার পর থেকে দীর্ঘ সময় পুরো এলাকা ডুবে ছিল অন্ধকারে।