—প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার সালকিয়ায় একটি ভগ্নপ্রায় দোতলা বাড়ি শনিবার রাতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল।
আগুন লাগার পরে বাড়িটির দোতলায় আটকে পড়েন এক বৃদ্ধা ও তাঁর দুই ছেলে-সহ পাঁচ জন। আগুন দেখে বাড়ির তিনটি কুকুরছানাও ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করে। খবর পেয়ে দমকল ও মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মই দিয়ে তিনটি কুকুরছানা-সহ পাঁচ জনকেই উদ্ধার করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোতলা বাড়িটির চাল টালি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি হওয়ায় পুরো বাড়িটিই পুড়ে যায়।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ সালকিয়ার ৬ নম্বর হাসনা বিবি লেনের ওই দোতলা বাড়িটিতে আগুন লাগে। দোতলা বাড়িটি পাকা হলেও ভগ্নপ্রায় এবং বাড়িটি টালির চালের হওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। বাড়ির একতলায় একটি পুরনো জিনিসপত্র রাখার গুদামঘর ছিল। সেটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়িটিতে মায়া ভট্টাচার্য নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা থাকেন। এ ছাড়া তাঁর দুই ছেলে— বছর ষাটেকের গৌর ভট্টাচার্য ও বছর পঞ্চান্নর নিতাই ভট্টাচার্যও ওই দিন বাড়িতেই ছিলেন। বাকি দু’জনের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। বাড়িতে আটকে পড়া বাসিন্দারা সকলেই আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকলে এলাকার বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ও দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সকলকে উদ্ধার করে। এমনকি বাড়ির তিনটি কুকুরছানাকেও উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দে বলেন, ‘‘ওই বাড়িটিতে এক জন রোগী থাকেন। তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। রাতে যখন এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি প্লাস্টিক, কাঠ এনে ওই ভগ্নপ্রায় বাড়িতে রেখে দেন। ওই দাহ্য জিনিসপত্রে কোনও ভাবে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে হচ্ছে।’’
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লেগেছে দোতলা থেকেই। তবে ঠিক কী থেকে আগুন লেগেছিল, তা জানা যায়নি। শর্ট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান। কারণ পুরনো ভগ্নপ্রায় বাড়িতে বিদ্যুতের ওয়্যারিং-এর হাল খুব শোচনীয় ছিল। কী করে আগুন লাগল, তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ভেবেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।