ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহরে। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন জগন্নাথ ঘাটের একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। তার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত আগুন নেভানো যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। আপ্রাণ চেষ্টায় এ দিন সকালে সওয়া আটটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে দমকল। তাই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আর সম্ভাবনা নেই তেমন। তবে আগুন নেভাতে আজ সারাদিল লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন এক দমকল কর্মী।
জগন্নাথ ঘাটের ওই রাসায়নিক গুদামটি আসলে পোর্ট ট্রাস্টের। একটি সংস্থাকে সেটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। গুদামটি যেখানে অবস্থিত, ওই এলাকা ঘন বসতিপূর্ণ। রেল লাইনের পাশে বহু ঝুপড়ি রয়েছে। সেখান থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ওই রাসায়নিক গুদামের পাশে নিয়মিত নেশাগ্রস্তদের আড্ডা বসে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। তাদের বিড়ি বা সিগারেট থেকেও আগুন লেগে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁদের। তবে এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। সেখানে পরিস্থিতির তদারকি করছেন তিনি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন দমকল ডিজি জগমোহনও। তবে এখনও পর্যন্ত আগুনের উৎসস্থল পর্যন্ত পৌঁছনো যায়নি। বরং গুদামে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ফাটল ধরেছে গুদামের ছাদে। গুদামের ভিতর থেকে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছে। তার জেরে ধসে পড়েছে ছাদের একাংশ। গঙ্গার হাওয়ায় কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক।
ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারিদিক। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: যে দিন থাকব না সে দিন বুঝবে, কর্মীদের সতর্ক করে বললেন মমতা
আরও পড়ুন: মমতার সর্বাত্মক যুদ্ধে প্রশান্ত কিশোর ঘুঁটি মাত্র
নিরাপত্তার কারণে স্থানীয়দের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গুদামে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকাতেই আগুন বিরাট আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ দমকলের। তারা জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত থাকলেও, ওই গুদামে জলের রিজার্ভার ছিল না। ছিল না অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও। সেই পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের এক কর্মী আহত হন।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)